ভোলায় ঝুঁকিতে চরাঞ্চলের ২ লাখ মানুষ
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৫:২৯ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে দ্বীপ জেলা ভোলায় ঝুঁকিতে রয়েছে বিচ্ছিন্ন দুর্গোম চরাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ মানুষ। চরাঞ্চলে যে আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে তাতে প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন এবং বাকিদের স্থানীয় শক্তঘর ও মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনায় আশ্রয় নিতে পারবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি। শান্ত রয়েছে মেঘনা নদী।
এদিকে আবহাওয়া বার্তায় মহাবিপদ সংকেত দিলে সকালে ভোলার ইলিশা মৌলোভির হাট আশ্রয় কেন্দ্রে কিছু মানুষ আসে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় রেডক্রিসেন্ট ও সিপিবির পক্ষ থেকে মাইকে ও সাইরেন বাজিয়ে স্থানীয় লোকজনকে সর্তক করার পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসলেও, অধিকাংশই তাতে সাড়া দিচ্ছেনা।
এমনকি আবহাওয়া বার্তা উপেক্ষা করে মাছ মেঘনা নদীতে কিছু জেলেকে মাছ ধরতে দেখা গেছে। সবধরনের নৌযান বন্ধ থাকায় ভোলা ইলিশা ফেরিঘাটে বহু যাত্রী আটকা পড়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, দ্রুত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ইতিমধ্যে নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ২ শত মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বরাদ্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ভোলা জেলার ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ৮টি কন্ট্রেল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯২টি মেডিকেল টিম। ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবী সদস্য মাঠে নিয়োজিত রয়েছে।
এআই/আরকে