ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

মোস্তাফিজ-মোসাদ্দেক বাদ, ফিরলেন মিঠুন ও রনি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৭ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

টিম বাংলাদেশ

টিম বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। তবে সেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ এখনও রয়েছে টাইগারদের সামনে। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিতলেই ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।

রোববার (১০ অক্টোবর) নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

এদিকে সিরিজ নির্ধারণী এ ম্যাচে দু’টি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়ছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। গ্রোয়েন ইনজুরিতে পড়েছেন মোসাদ্দেক। তার জায়গায় খেলবেন মোহাম্মদ মিঠুন।

আর দু’ম্যাচে ৬.৪ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। প্রথম ম্যাচে দুই ওভার বল করে ৭.৫০ ইকোনোমিতে দিয়েছেন ১৫ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩.৪  ওভার বল করে ৯.৫৪ ইকোনোমিতে দিয়েছেন ৩৫ রান। তাই তার পরিবর্তে প্রায় এক বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবেন আরেক বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি।

এর আগে জয় দিয়েই সিরিজ শুরু করে টাইগাররা। দিল্লিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। এরপর আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সিরিজ জয়ের সে স্বপ্ন দীর্ঘায়িত হয়। ৬টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৮৫ রান করেন রোহিত। সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত।

কিন্তু তারপরও সিরিজ জয়ের আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদি বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু ব্যাটিং-এ আমরা কিছু ভুল করেছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ভারতকে চাপে রাখতে পারি এবং যে কোনও দিনই তাদের হারাতে পারি।’
 
তবে নিজেদের মাটিতে কখনও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে হারেনি ভারত। যদিও দেশের মাটিতে ভারতকে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে হারানোর পথ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। চলতি সিরিজেই ভারতকে এই ফরম্যাটে প্রথমবারের মত হারানোর নজির গড়ে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এরমধ্যে ৯টিতে জিতেছে ভারত।

অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ৯১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ৩০টি জিতেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতের মত প্রশংসনীয় সাফল্য নেই বাংলাদেশের। তবে এ বছর সংক্ষিপ্ত এ ফরম্যাটে ভালো ফল করেছে তারা। ৬ ম্যাচ খেলে ৪টি জিতেছে। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এ বছর বাংলাদেশের পারফরমেন্স এ ফরম্যাটের সেরা-ই বলা যয়।

তাই এ বছরের পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী রাখতে সহায়তা করবে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের পর স্পষ্টভাবে ফেভারিট ভারত।

ব্যাটসম্যানদের মত বাংলাদেশের বোলারাদের নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ছাড়া কোনও বোলারই ভারতের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে স্লো পিচ থাকায় সেখান থেকে ফায়দা নিতে পেরেছিলো বাংলাদেশের বোলাররা। রাজকোটের পিচ দিল্লির মতো না হওয়াতে বোলাররা ভালো করতে পারেনি। তারপরও শেষ ম্যাচে সাফল্য পাবার ব্যাপারে আশাবাদি বাংলাদেশ। সূত্র: বাসস

এনএস/