সাতক্ষীরায় তাণ্ডব চালিয়ে মোংলার দিকে ‘বুলবুল’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার
প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ দক্ষিণ জেলা সাতক্ষীরায় তাণ্ডব চালিয়ে বাগেরহাটের মোংলার দিকে ধেয়ে আসছে। ঝড়ের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস।
জানা যায়, ৮১ কিলোমিটার রোববার রাত ৩টার দিকে সাতক্ষীরায় আঘাত হানে ‘বুলবুল’। রাত ৩টা থেকে এখনও ঝড়ো বাতাস অব্যাহত রয়েছে। নদীর পানি বেড়ে শ্যামনগরের সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেঙেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে এসব এলাকায় উপড়ে পড়েছে গাছপালা।
ঝড়ের আঘাতে কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে জানান শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। এ জেলায় শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪৭ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে ‘বুলবুল’র আঘাতে খুলনা সদরে গাছপালা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, ‘মূল ঝড়ের আঘাত ভোররাত সাড়ে চারটা থেকে শুরু হয়েছে, সেটি এখনও চলমান।’
আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ‘বুলবুল’ বর্তমানে খুলনা ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে (২২.০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ভোর ৫টায় বুলবুল খুলনা অতিক্রম করে।
এদিকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সংকেতে দেখাতে বলা হয়েছে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ক্ষেত্রে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এমএস/