ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

ইতিহাস গড়ার ম্যাচে টাইগার শিবিরে দুই পরিবর্তন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:২৭ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার

রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে ভারত মিশন শুরু করলেও ছন্দহীন বোলিংয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের আশা দীর্ঘায়িত হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে বোলাররা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিতের দানবীয় ব্যাটিংয়ে তা আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি মোস্তাফিজদের।

ফলে, ইতিহাস গড়ার ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে বোলিংয়ে দুই পরিবর্তন নিয়ে আজ মাঠে নামছে টাইগাররা। সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে জিতলেই স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মত এ ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।

রোববার (১০ অক্টোবর) ভারতের নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

এ ম্যাচে বাদ পড়ছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।

গ্রোয়েন ইনজুরিতে পড়েছেন মোসাদ্দেক। তার জায়গায় খেলবেন মোহাম্মদ মিঠুন। আর প্রথম ম্যাচে দুই ওভার বল করে ৭.৫০ ইকোনোমিতে  রান দিয়েছেন ১৫ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩.৪  ওভার বল করে ৯.৫৪ ইকোনোমিতে দিয়েছেন ৩৫ রান। তাই তার পরিবর্তে প্রায় এক বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছেন আরেক বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি।

এর আগে জয় দিয়েই সিরিজ শুরু করে টাইগাররা। দিল্লিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। এরপর আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সিরিজ জয়ের সে স্বপ্ন দীর্ঘায়িত হয়। ৬টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৮৫ রান করেন রোহিত। সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত।

কিন্তু তারপরও সিরিজ জয়ের আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদি বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু ব্যাটিং-এ আমরা কিছু ভুল করেছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ভারতকে চাপে রাখতে পারি এবং যে কোনো দিনই তাদের হারাতে পারি।’

তবে নিজেদের মাটিতে কখনও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে হারেনি ভারত। যদিও দেশের মাটিতে ভারতকে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে হারানোর পথ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। চলতি সিরিজেই ভারতকে এই ফরম্যাটে প্রথমবারের মত হারানোর নজির গড়ে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এরমধ্যে ৯টিতে জিতেছে ভারত।

অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ৯১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ৩০টি জিতেছে টাইগাররা। ওয়ানডের মত প্রশংসনীয় সাফল্য নেই বাংলাদেশের। তবে এ বছর সংক্ষিপ্ত এ ফরম্যাটে ভালো ফল করেছে তারা। ৬ ম্যাচ খেলে ৪টি জিতেছে। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এ বছর বাংলাদেশের পারফরমেন্স এ ফরম্যাটের সেরা-ই বলা যয়।

তাই এ বছরের পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী রাখতে সহায়তা করবে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের পর স্পষ্টভাবে ফেভারিট ভারত।

ব্যাটসম্যানদের মত বাংলাদেশের বোলারাদের নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ছাড়া কোনো বোলারই ভারতের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি।

প্রথম ম্যাচে স্লো পিচ থাকায় সেখান থেকে ফায়দা নিতে পেরেছিলো বাংলাদেশের বোলাররা। রাজকোটের পিচ দিল্লির মতো না হওয়াতে বোলাররা ভালো করতে পারেনি। তারপরও শেষ ম্যাচে সাফল্য পাবার ব্যাপারে বেশ আশাবাদি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ :
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মাদ মিথুন, আফিফ হোসেন, আবু হায়দার রনি, আল আমিন হোসেন, আমিনুল ইসলাম এবং শফিউল ইসলাম।
এআই/