শ্যামনগরে ৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের গাবুরায় ৫ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এছাড়া, শতশত বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার ভোর রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় প্রবল বেগে দমকা হওয়া থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে এর তীব্রতা কমতে থাকে।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ৬ লাখ মানুষের বসবাস এর মধ্যে শনিবার রাত পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। এদিকে, উপকূলীয় এলাকার বেঁড়িবাধগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ইতিমধ্যে ২২ হাজার স্বোচ্ছাসেবক, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, নৌবাহিনী ও ১০০ জন সেনা সদস্য উপকূলীয় এলাকায় জানমাল রক্ষায় কাজ করছেন।
তিনি আরও জানান, উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় কাঁচাঘর বাড়ি, মৎস্যঘের ও ফসলি জমিও রাস্তঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব অঞ্চলে প্রায় ৬০/৭০ ভাগ ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ধ্বসে পড়েছে। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা যায়নি বলে তিনি জানান।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, রাত তিনটা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮১ কিলোমিটার।
একে//