আজ থেকে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম শুরু
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৩৭ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৮:৩৯ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব কেটে যাওয়ায় মোংলার পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ঝড়ে পশুর নদীতে একটি বিদেশি কোম্পানির ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত একটি স্পীড বোট এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় হাজারও কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের প্রকোপে রাস্তার ওপর বড় বড় শতাধিক গাছ উপড়ে গেছে। রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সংকেতে আনা হয়েছে। এর ফলে মোংলা বন্দরে ১০ নভেম্বর রাত থেকেই দেশি বিদেশি জাহাজ আগমন-নির্গমনের কাজ শুরু হবে বলে জানান হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন।
তিনি বলেন, রাতেই জাহাজ আগমন-নির্গমেনর কাজ শুরুর পরই সোমবার সকাল থেকেই বন্দরের অপারেশনাল কাজ পুরোদমে শুরু হবে। একই সাথে বন্দরের পশুর চ্যানেল ও জেটিতে অবস্থান করা ১৪টি বিদেশি জাহাজে পণ্য ওঠা নামার কাজ শুরু হবে। এছাড়া এদিন মোংলা বন্দরে আরও সাতটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আসার শিডিউল আছে বলেও হারবার মাষ্টার ফকর উদ্দিন জানান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে উপজেলার প্রায় এক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাওয়া গেছে। এছাড়া ঝড়ের রাতে অনেক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন খাবার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া পিঞ্জিরা বেগম, লাবনি বেগম, রাজু মুন্সি, বাবলু হাওলাদার, মো. শহিদ ও ফিরোজা বেগম ছাড়াও সিপিপি’র (সাইক্লোন পিপারনেস প্রোগ্রাম) স্বেচ্ছাসেবক অনিতা মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের কানাইনগর সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান নেওয়া দুর্গতদের মাঝে সরকারী-বেসরকারী কোন খাবারই আসেনি, সারা রাত না খেয়েই সকালে বাড়ি গেছেন প্রায় দুই’শ নারী-পুরুষ।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.রাহাত মান্নান বলেন,‘মোংলা বাজারের সব শুকনো খাবারই কিনে নিয়ে সর্বচ্চ চেষ্টা করেছি সবার মাঝে বিতরণের। তবে একটি কেন্দ্রে রেডক্রিসেন্টের কর্মিদের আসতে দেরি হওয়ার কারনে দুর্গতদের মাঝে খাবার দিতে বিলম্ব হয়। এটার আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি, আমাদের আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার দরকার ছিল’।
কেআই/আরকে