ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হেরে গিয়ে যা বললেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

নাগপুরের মাঠে যা হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য তা নতুন কিছু নয়। এমনভাবে লজ্জা পাওয়ার তীক্ততা কম জোটেনি টাইগার ঝুঁলিতে। ঠিক তারই আরেকটি অংশ বিশেষ দেখা গেল রোববারের ফাইনাল ম্যাচে।

অতীতে কখনো ১ রান, কখনো ২ রান আবার কখনো শেষ বলে ৬ খেয়ে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। সে তুলনায় রোহিতদের বিপক্ষে নাগপুরের এ ম্যাচে ৩০ রানের পরাজায়টা বরং নিঃসঙ্কোচে আত্মসমর্পণ।

১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে লিটন আর সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বেশ একা হয়ে পড়েন নাঈম। প্রথম দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ না হলেও, শেষ ম্যাচে নেমে তা কাজে লাগাতে চাচ্ছিলেন মিঠুন। তার কিছুটা পূরণও করেছেন তিনি।

নাঈম- মিঠুনের ব্যাটিংয়ে ভর করে নতুন করে জয়ের সুবাতাস বইছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু আগের ও পরের ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার প্রতিযোগীতায় আবারও সে স্বপ্ন ভেঙে যায় টাইগার প্রেমিদের।

দু’জনের ৬১ বলে ৯৮ রানের অসাধারণ জুটির পরও ১৪৪ রানে অলআউট, পরাজয় ৩০ রানে ব্যবধানে। অথচ একপর্যায়ে জয়ের জন্য ৪৮ বলে দরকার ছিলো ৬৯ রান। টি-টোয়েন্টি তো বটেই, ওয়ানডে ক্রিকেটেও এখন হরহামেশাই ছুঁয়ে ফেলা হয় এমন সমীকরণ।

ইনিংসের ১৩ ওভারে  মিঠুন সাজঘরে ফিরলে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নাঈম। কিন্তু শিভাম ডুবের এক ব্রেক থ্রো-তে স্ট্যাম্প ভাঙ্গে নাঈমের। মাঠ ছাড়ার আগে ২ ছয় আর ১০ চারে  ৪৮ বলে ৮১ রানের ঝলকানো ইনিংস খেলেন তিনি।

তার বিদায়ের পরও ক্রিকেট প্রেমিদের শেষ ভরসা ছিল অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর প্রতি। কিন্তু চাহালের বলে বোল্ড হয়ে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরলে হারের আনুষ্ঠানিক পথ তৈরি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯ দশমিক ২ ওভারে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। নাঈম ও মিঠুন ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি।

নিজেদের এমন  হারে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর কণ্ঠে যেন শুধুই আক্ষেপের সুর। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠে বলেন, ‘নাঈম ও মিঠুন যেভাবে জুটি গড়েছিল, আমাদের সত্যিই দারুণ সুযোগ ছিলো। কিন্তু আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়েছি, যা আমাদের হাত থেকে ম্যাচটা নিয়ে গিয়েছে। এক পর্যায়ে ৫ ওভারে ৪৯ করতে হতো। আমাদের তখনও সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা তা হারিয়েছি। ছেলেরা মাঠে যে চেষ্টাটা করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’

তরুণ ব্যাটসম্যান নাঈম শেখের প্রশংসা করে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি নাঈম খুবই প্রতিভাবান একজন ব্যাটসম্যান। স্থিরতার সঙ্গে তিনি ইনিংসটা সাজিয়েছিলেন। এছাড়া বোলিংয়ে আমাদের তিন পেসারই পরিকল্পনা মোতাবেক বোলিং করেছে। পুরো সিরিজেই তারা দুর্দান্ত করেছে।’
এআই/