স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১০ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:১১ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
চার প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করেছে সংস্থাটি।
গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক পৃথক সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ওই নোটিশ তাদের বর্তমান ঠিকানা বরাবর পাঠানো হয়েছে। আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন- খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসাপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও তার মিসেস শামীমা নার্গিস, চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী মো. রেজাউল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস রুনা খানম, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান ও তার স্ত্রী মিসেস রওনক জাহান শাহীন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার, চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার প্রধান সহকারী মো. খায়রুল আলম ও তার স্ত্রী দিলারা আলম সুমি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন-২) মো. কবির আহমেদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুবিনা শিরিন, জতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন ও তার স্ত্রী ফারজানা হোসাইন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রধান (মহাপরিচালক দপ্তর) মো. জোবায়ের হোসেন ও তার স্ত্রী শাহানা সুলতানা এবং সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী এম কে আশেক নওয়াজ ও তার স্ত্রী মোছা: নিলুফা ইয়াসমিন
নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, তাদের জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে হবে।
দুদকের উপপরিচালক মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন।
এআই/এসি