ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

কোন হুমায়ূনকে আমি বেশি পছন্দ করি!

শায়লা শারমিন শুভ্রা

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:৪৪ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

আমি হুমায়ূন আহমেদ ভক্ত কিনা নিজেই বুঝি না। ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ নাকি ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ নাকি নাট্যকার/ চলচ্চিত্রকার... কোন হুমায়ূন আহমেদকে আমি বেশি পছন্দ করি? উত্তর পরে দিচ্ছি।

হুমায়ূন আহমেদকে মাঝেমধ্যে হিমু, মাঝেমধ্যে মিসির আলী ভাবতে ভালো লাগে। নাহহ.. ভুল বললাম। ভাবতে না, আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ নিজেই হিমু এবং মিসির আলী!

ডায়েরির বেশ কিছু পাতায় হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কাটাকুটি আছে। হুমায়ূন আহমেদের বেশির ভাগ উপন্যাস থেকে আমি বিরক্তি নিয়ে ফিরেছি। মনে মনে বলেছি আর পড়ব না ওই ব্যাটার উপন্যাস। কিন্তু পড়া হয়ে যায়। হুমায়ূন আহমেদ আজ আমার এই লিখা দেখলে/পড়লে নিশ্চই মুচকি হাসতেন।

তবে হ্যাঁ, ফিহা সমীকরণ, এই মেঘ রৌদ্রছায়া, বৃষ্টি ও মেঘমালা, পুফি, দূরে কোথাও...... বেশ কিছু উপন্যাস থেকে ভালো লাগা নিয়ে ফিরেছি। চোখের কোণে জল এনেছে বৃষ্টি ও মেঘমালা।

মন বাড়ির উঠুনটা অনেক ছোট। এখানে কখন কি হয় জানা বুঝা যায় না। সব না জেনে রায় দেওয়া যায় না। ব্যক্তি হুমায়ূনকে আমি কাঠগড়ায় তুলতে পারি না। তবে নোভা, শীলা, নুহাসদের সাথে কাটানো সময়টা আমাকে দোলা দেয়। নোভার প্রথম জন্মদিনে ময়দা গিফট-টাকার অভাবে..... আমার বেশ লেগেছিল।

নোভাকে সাইকেল শিখানো, বাচ্চাদের নিয়ে পুকুরে সাতার শিখানো... এগুলো আমাকে অন্য ভুবনে নিয়ে যেতো।

অন্যদিকে শাওনের সাথে কাটানো সময়কেও আমি আড় চোখে দেখি না। বেশ লাগে। মনের জগতের আনাচে-কানাচে কত কিছুই তো ঘটে। এটাও এমনই একটা ঘটনা!

আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, বহুব্রীহি, জননী, উড়ে যায় বক পক্ষী, দুই দোয়ারী, শঙ্খনীল কারাগার, নন্দিত নরকে -এসবে এসে আমি আটকা পরে গেছি। এই জায়গায় এসে হুমায়ূন আহমেদকে আমি বেশিই পছন্দ করি। আমার কাছে এই জায়গায় তিনি সফল। কোন অভিযোগ নেই আমার। মুগ্ধ হই আমি।

এই মুর্হূতে একটা ঘাসফড়িং উড়ে যাচ্ছে -মস্ত বড় আকাশের নীচে। জীবনানন্দ দাশের কথা মনে পরে গেল। প্রকৃতির আবেদন শুধু জীবনানন্দ দাশেই না, হুমায়ূন আহমেদও গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। মোটের উপর হুমায়ূন লোকটা আমার আলাদা উঠান। আলাদা জগৎ। কল্পনায় একান্তই নিজের মতো করে মেতে উঠি ওনার সাথে।

শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ স্যার।

লেখক: শায়লা শারমিন শুভ্রা, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।