ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শুরুতেই ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪০ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ইন্দোরে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় শুরু হয় খেলা। ওপেনিংয়ে নামেন সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস। ১২ রান তুলতেই আউট হন দুই ওপেনার। দু’জনেই হোন ক্যাচ আউট। এরপর মোহাম্মদ সামির বলে এলবিডব্লিউও হন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৬ বল খেলে মাত্র ১৩ রান করেন মিঠুন। 

সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বোল খুইয়ে ৬ রান সংগ্রহ করেন সাদমান। আর ১৮ বোল খুইয়ে ৬ রান সংগ্রহ করেন ইমরুল। সাদমানকে ফেরান ইশান্ত শর্মা আর ইমরুলকে ফেরান উমেশ যাদব।

ক্রিজে আছেন, মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪ রান।

এদিন, দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।

এ ম্যাচের মধ্যদিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু করল টাইগাররা। অর্থাৎ, টেস্ট ক্রিকেটের নতুন এই ধারায় বাংলাদেশ একবারেই ‘নবীন’। অন্যদিকে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর পর এখন পর্যন্ত সিরিজ হারের মুখ দেখেনি র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা ভারত। ফলে বিরাট কোহলিদের ‘অদম্য’ দলটির বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষার মুখেই পড়তে হচ্ছে মুমিনুল হকের দলকে।

ঘরের মাটিতে সবশেষ ৩২ টেস্টের ২৬টিতেই জয় পেয়েছে কোহলিরা। শক্তিমত্তা ও সামগ্রিক দিক বিবেচনায় টাইগারদের থেকে এগিয়ে ভারত। অন্যদিকে, সাকিব-তামিমকে ছাড়া তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়েই মাঠে নেমেছে মোমিনুলরা।

ক্রিকেটের এ ভার্সনে সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। চলতি বছর ৩টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। যেখানে তিনটিতেই হেরেছে তারা। সবচেয়ে হতাশার ছিল ঘরের মাটিতে আফগানদের কাছে লজ্জানক হার। ফলে, স্বাগতিকদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা যে একটু বেশি তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

এদিকে, সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর নতুন অধিনায়ক হয়েছেন মুমিনুল হক। কোহলির দলের বিপক্ষে সাফল্য পেতে অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণদের নিয়ে সাফল্য পেতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলপতি। টেস্টে দু’দল এর আগে ৯ বারের মোকাবেলায় ৭টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারত। অন্য দুইটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

বাংলাদেশ একাদশ

সাদমান ইসলাম, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।