বাংলাদেশে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ বিষয়ক বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি.সি-তে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ইউএস-বাংলা ওয়ার্কিং গ্রুপ ও প্রখ্যাত মার্কিন থিংকট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে ‘ফিউচার অব ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়। ১৩ই অক্টোবর রোজ বুধবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামও এ আলোচনায় অংশ নেন। ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা বিসওয়াল এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া সেন্টারের পরিচালক ড. আরফান নুরুদ্দিনও এতে উপস্থিত ছিলেন।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাংলাদেশকে শক্তিশালী করেছে, তার ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন উপদেষ্টা। তার বক্তৃতায় প্রাধান্য পেয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ডিজিটালাইজেশন, ফার্মাসিউটিক্যালস, জ্বালানি, তৈরি পোশাক, আধুনিক উৎপাদন খাত ও অবকাঠামো এবং কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থানের অবদান। তিনি কৃষি জমি রক্ষা ও পরিকল্পিত শিল্পায়ন নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সকলের নিকট তুলে ধরেন।
উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইউএস-বাংলা ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য কোম্পানিগুলোর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে উদ্ভুত বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেন। ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা ও বাংলাদেশে মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যেই ব্যপক সুযোগ দেখতে পাচ্ছে ও প্রত্যাশা করছে, সেই বিষয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া ‘ইজি অব ডুইং বিজনেস’ ও ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীতা সম্পর্কিত সূচকসমূহে অগ্রগতি করতে বাংলাদেশকে যেসব পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে তাও দুই পক্ষের আলোচনায় এসেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে একটি টেকসই অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার ব্যাপারে সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়টি। উপদেষ্টা বাংলাদেশের জনগণের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা, বিদ্যমান সমাস্যার দ্রুত সমাধান ও সৃজনশীলতা উৎসাহিত করতে বেসরকারী খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইউএস চেম্বার ও আটলান্টিক কাউন্সিলের এই অনুষ্ঠানে অংশীদার হিসেবে ছিল চেনিয়েরে ও জিই পাওয়ার। এতে অংশ নিয়েছে শেভরন, এক্সালেরেট এনার্জি, পিএইচআরএমএ, টারগেট, ওয়ালমার্ট, বোয়িং, বাওয়ার গ্রুপ এশিয়া, স্কাই পাওয়ার গ্লোবাল, ম্যাকলার্টি অ্যাসোসিয়েটসের মতো বিশ্বখ্যাত বৃহৎ মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ।
ইউএস বাংলা ওয়ার্কিং গ্রুপের পক্ষে নিশা বিসওয়াল জানান, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করার প্রয়াসে ২০২০ সালে ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন ব্যবসায়িক নির্বাহীদের একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সফরে নিয়ে যাবে ইউএস চেম্বার।
আরকে/