হাবিপ্রবিতে জিন ও জিনোম বিষয়ক সেমিনার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪০ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লান্ট জিন ও জিনোম সম্পর্কিত একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ দুপুর আড়াইটায় বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস ও উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো.আফজাল হোসেন, হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক। এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সোনিয়া গ্রুপ, বাংলাদেশের পরিচালক এনায়েত উদ্দিন মো.কায়সার খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস।
জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আরিফুজ্জামান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্যের পরে সেমিনারের প্রধান আলোচক জার্মানীর ইউনিভার্সিটি অব বন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জেনস লিয়ন ও প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের সিনিয়র গবেষক ড. আগিম বেলভোরা পৃথক পৃথকভাবে Drought Adaptation Through Pyroline-5-Carboxylate Synthase1 allel and Tractor Mounted Sensor Phenotyping in Cereals" ও "Genomics of sustainable Breeding Progress: A Mega-Study in Wheat এর ওপর গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, কৃষিভিত্তিক আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উদ্ভিদ জীবপ্রযুক্তি একটি সম্ভাবনাময় খাত। মানুষের কল্যাণে পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানত টিস্যু কালচার ও প্ল্যান্ট জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এই দুই শাখার মাধ্যমে এই বিভাগ তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে। জীবপ্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে অধিক উৎপাদনশীল, রোগ বালাই ও অন্যান্য পরিবেশগত প্রতিকূলতা-সহিষ্ণু উদ্ভিদের জাত উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গবেষণা হচ্ছে।
উদ্ভিদ জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে অধিক উৎপাদনশীল, কীট পতঙ্গ ও অন্যান্য পরিবেশগত প্রতিকূলতা প্রতিরোধী ফসলের জাত ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মত এমন দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
কেআই/আরকে