ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

তিনদিনেই ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৯ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

মুশফিকুর রহিম

মুশফিকুর রহিম

এক মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ২৪৩ আর আজিঙ্কা রাহানের ৮৬ রানের কল্যাণে ছয় উইকেটে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। কিন্তু ইন্দোর টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়েও ভারতের এই রানটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২১৩ রানে। ফলে তিন দিনেই ইনিংস ও ১৩০ রানের পরাজয় মেনে নিতে হলো বাংলাদেশকে।

শুক্রবার ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করা ভারত আজ (শনিবার) আর ব্যাটিংয়েই নামেনি। ইনিংস ঘোষণা দিয়ে তাই সকালে বাংলাদেশকেই ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। নতুন বলের সুবিধা নিতেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি।

যে সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানায় পেসাররা। সকালে নতুন বলের সুইং বুঝতে না পেরে আগের ইনিংসের মতই ব্যর্থ হন ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। পরে মুমিনুল হকও যখন ফেরেন বাংলাদেশের রান তখন ৩৭! কিছুক্ষণ পর মোহাম্মদ সামির ‘সুইং অত্যাচার’ থেকে বাঁচতে পুল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুনও। মূলত তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস পরাজয়।
 
তার পরের প্রায় দেড় সেশন বাংলাদেশি সমর্থকদের সান্ত্বনা দিয়ে গেছেন এক মুশফিকুর রহিম। ভারতীয় পেসারদের দুর্দান্ত সুইং ও আক্রমণ সামলে একপ্রান্তে খুঁটির মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন মুশফিক। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। বাংলাদেশের নবম উইকেট পতন হওয়ার পর ব্যাট চালিয়ে খেলতে গিয়ে মুশফিক আউট হন ৬৪ রানে। ১৫০ বল খেলে ৭ চারে ওই রান করেন সাবেক অধিনায়ক।

এ নিয়ে আরও একবার টেস্টের দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান এলো মুশফিকের ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। মুশফিক ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল লিটন কুমার দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

অবশ্য অনেকের চোখে এ দুজনের ব্যাটিং হয়তো দৃষ্টিকটুই মনে হতে পারে! বাংলাদেশ যখন দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে চিড়েচ্যাপ্টা, তখন উইকেটে পড়ে থাকার প্রয়োজন হলেও ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে ফিরেছেন লিটন। ৩৯ বলে ৩৫ করে আউট হন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আর আটে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন মিরাজ।

প্রথম ইনিংসের মতো এ ইনিংসেও ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার মোহাম্মদ শামি। ৩১ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩টি আর উমেশ যাদব নিয়েছেন দুটি উইকেট।

সুতরাং, উভয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান পাওয়া মুশফিকুর রহিম আর আবু জায়েদের ৪ উইকেট। ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশের স্বান্ত্বনা বলতে এটুকুই। যাতে তিন দিনেই শেষ হয়ে গেল সিরিজের প্রথম টেস্ট। দুই ইনিংসের কোনওটিতেই পুরো একদিন খেলতে পারল না টাইগাররা। হারের ব্যবধান তাই ইনিংস এবং ১৩০ রান। আবার দেখা হবে আগামী ২২ নভেম্বর, ইডেন গার্ডেনের ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টে।

এনএস/