মেলায় হাজার কোটি টাকা কর আদায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার
আয়কর মেলায় রাজস্ব আদায় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তৃতীয় দিন পর্যন্ত মোট কর আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৩ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত মেলায় এ পর্যন্ত সেবা নিয়েছেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮২ জন। রিটার্ন দাখিল হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৪৯টি। নতুন ই-টিআইন নিবন্ধন নিয়েছেন ১১ হাজার ৯৭৯ জন করদাতা।
আয়কর মেলার তৃতীয় দিনে ২৬২ কোটি ২ লাখ ৯২ হাজার ২৫১ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এদিন সেবা গ্রহণ করেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৯৪০ জন। রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৮৪ হাজার ৫৩৪টি। নতুন ই-টিআইন নিবন্ধন নিয়েছেন ৪ হাজার ১১ জন করদাতা।
আয়কর মেলার তৃতীয় দিনেও করদাতারা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে করসেবা গ্রহণ ও রিটার্ন দাখিল করেন। শনিবার সরকারি ছুটির দিনে রাজধানীর বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত মেলায় সকাল থেকেই করদাতারা আসতে শুরু করেন। একপর্যায় করদাতাদের লম্বা লাইন মেলা প্রাঙ্গণের রাস্তা পর্যন্ত চলে আসে। সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় রিটার্ন জমা দেয়ার বুথগুলোতে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আয়কর মেলায় সম্মানিত করদাতাদের উপস্থিতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আগ্রহ ক্রমাগত বাড়ছে। উৎসবের আমেজে মানুষ দলে দলে আয়কর মেলায় রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে রিটার্ন জমা দিয়ে রশিদ নিচ্ছেন। বিশেষ করে, আজকের মেলাতে নারী করদাতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এবারের বাজেটে রাজস্বের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অর্জনের জন্য আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সেজন্য নিজেরাসহ সাধারণ মানুষকেও মোটিভেট করছি।
এর আগে আয়কর মেলার দ্বিতীয় দিনে ৪৭৯ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৭ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। মেলার প্রথম দিনেই রেকর্ড প্রায় ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ৩২৩ কোটি ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮৫ টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করে এনবিআর।
‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রুপকল্প বাস্তবায়ন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। এবছর দেশের আটটি বিভাগ, ৬৪টি জেলা, ৫৬টি উপজেলাসহ মোট ১২০টি স্থানে আয়কর মেলা হচ্ছে। মেলার পরিধি গতবছরের মেলার চেয়ে কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিদিন মেলা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে।
মেলায় আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইন গ্রহণ, ই-পেমেন্ট, ই-ফাইলিং, ই-পেমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। মেলার বিশেষ আকর্ষণ- মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করে রকেট, নগদ, বিকাশ ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে করদাতাগণ আয়কর জমা দিতে পারছেন।
ঢাকার আয়কর মেলায় করদাতাদের সুবিধার্থে ৫২টি আয়কর রিটার্ন বুথ, ৫৩টি হেল্প ডেস্ক, ব্যাংক বুথ (সোনালী ব্যাংক ১৩টি, জনতা ব্যাংক ৫টি এবং বেসিক ব্যাংক ৪টি), ই-পেমেন্টের জন্য ৩টি, ই-ফাইলিংয়ের জন্য ২টি বুথ পৃথক রয়েছে। এছাড়াও মেলায় আগত করদাতাদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য একটি মেডিক্যাল বুথ আছে।
আরকে//