ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতা, গুলির হুমকি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩০ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

হংকংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলমানরত অবস্থায় পুলিশের একটি আগ্রাসন প্রতিহত করার সময় বিক্ষোভাকারীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। খবর বিবিসি’র।

বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেডের পেছন থেকে পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ও তীর ছুঁড়ে মাররে পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই বিক্ষোভকারীদের হুশিয়ারি দেয় যে এ ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলা বন্ধ করা না হলে তারা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুঁড়বে।

গত কয়েকমাস ধরে চলা সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে হংকংয়ে। তবে আধা স্বায়ত্তশাসিত এই চীনা নিয়ন্ত্রণাধীন শহরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। গত কয়েকদিন ধরে পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।

রোববার বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও জল কামানের হামলার জবাব দেয় পেট্রল বোমা, ইট ও তীর ছুঁড়ে। হাঁটুতে তীরবিদ্ধ হওয়ায় আহত হন পুলিশের একজন কর্মকর্তা

সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের দখল নেয়ার জন্য পুলিশ অগ্রসর হতে শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ শুরু হয়। সেসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ছুঁড়লে ক্যাম্পসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ পিছু হটে। ক্যাম্পাসের ভেতরে এখনও শত শত বিক্ষোভকারী রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিয়ে রাখা শিক্ষার্থীদের রোববার সন্ধ্যার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হলেও অনেকেই এখনও ক্যাম্পাসে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, হংকং চীনের অংশ হলেও এই স্থানটি বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। কিন্তু হংকং-এর মানুষের মধ্যে এই বোধ তীব্র হচ্ছে যে, বেইজিং তাদের উপরে আরও বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়। চিলি ও লেবাননের মতই হংকং-এর বিক্ষোভেও কাজ হয়েছে। বিতর্কিত বিলটি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তবু বিক্ষোভ এখনও চলমান।

একে//