‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির চিঠি’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে তাতে খালেদা জিয়ার সম্পর্কে কোনও কথা ছিল না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এ চিঠি দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপির পত্র’ দেয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এ চিঠি রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ছাড়া কোনও কিছু নয়। তিনি আরও বলেন, একটি শব্দও বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে সেখানে নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে যে, বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কি-না।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া হয়েছে, যেটা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গ্রহণ করেছেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে কথা বলে, সেগুলো নিছকই জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। তবে তারা যে চিঠি দিয়েছে, সেটা হলো সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন, সেখানে যে চুক্তিগুলো হয়েছিল সে বিষয় নিয়ে। তাদের ভাষ্য, সে সফরে নতুন কোনও চুক্তি হয়নি। ভারতে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো হলো এমওইউ (সমঝোতা স্মারক)। অথচ, বিএনপির মতো একটি দল চুক্তি ও এমওইউর পার্থক্য বুঝতে পারেনি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও সফর থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী তা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবেন। বরাবরের মতো ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী তা করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এমনকি, তিনি সংবাদ সম্মেলন করেও ভারত সফরের বিস্তারিত গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে বলেছেন, সংসদে ব্যাখা দিয়ে বলেছেন। কিন্তু বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এসব কাজ প্রধানমন্ত্রী করেননি। বিএনপির চিঠি অন্তঃসারশূন্য। এই চিঠি দেওয়া রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া আর কিছু না। পাশাপাশি, তারা ভারতবিরোধিতা থেকে বেরিয়ে আসেনি, সেটা বোঝানোর জন্য এই চিঠি দিয়েছে।
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় দুবার ভারত সফর করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে সাতটি চুক্তি হয়েছিল। সাতটি চুক্তি করে আসার পর বেগম জিয়া কি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলেন? করেননি। সংবাদ সম্মেলন করে কি জনসম্মুখে প্রকাশ করেছিলেন? করেননি। সংসদে বক্তৃতা করে কি এগুলো বলেছিলেন? সেটাও বলেননি।
এমএস/