ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

‘হিন্দু,জৈন,শিখ,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান,পার্সিদের স্বীকৃতি দেবে ভারত’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩২ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৫:৩৮ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

ভারতের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তৈরির ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ ধর্মকে নির্দিষ্ট করা হয়নি বলে দাবি করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।

প্রতিবেশি দেশগুলিতে ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সিদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এর আগে অমিতসহ বিজেপি অনেক নেতারা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসা এসব দেশের সংখ্যালঘুদেরই ভারতে শরণার্থী হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে। এতে পরিষ্কারভাবেই ধারণা করা হচ্ছে, মুসলিমদের দেশটিতে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।

সংসদের চলতি অধিবেশনে রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। তার আগে বুধবার এনআরসি’র প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হলে অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পার্সি শরণার্থীদেরই নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। তাঁদের ভারতের নাগরিক করে তুলতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন।’

কিন্তু হিন্দু, খ্রিস্টানসহ বাকিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বললেও, শাহ কেন মুসলিমদের এড়িয়ে গেলেন এমনটি জানতে চান এনসিপি সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন। জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘আপনি এনআরসি এবং নাগরিক সংশোধনী বিলের মধ্য গুলিয়ে ফেলছেন। এনআরসি তৈরির ক্ষেত্রে কোনও ধর্মকে নিশানা করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই সব কিছু হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন, দেশের সব নাগরিকেরই নাম নথিভুক্ত হবে এনআরসি তালিকায়। দেশের সর্বত্র এনআরসি হবে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। সকলকে এনআরসি’র আওতায় আনতেই এ প্রক্রিয়া।’

আসামে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা থেকে ইতোমধ্যে ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ পড়েছে। 

২০১৬ সালে লোকসভায় নাগরিক সংশোধনী বিল পেশ করে প্রথম মোদী সরকার। পরে সেটি সংসদীয় যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। এ বছর জানুয়ারি মাসে তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। তারপর লোকসভায় বিষয়টি গৃহীত হয় এবং গত ৮ জানুয়ারি পাশ হয়ে যায়। কিন্তু রাজ্যসভায় এখনও পাশ হয়নি বিলটি।

এমএস/এসি