ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

জাবির হল খুলে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা ও হল চালু রাখতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’। 

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কাছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে আবেদনপত্র জমা দেন শিক্ষার্থীরা। 

এছাড়া ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম এবং তৈরি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী সেশনজট। একই সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ও ফলাফল স্থগিত থাকায় শিক্ষার্থীরা চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করবেন বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। তবে আগের ঘটনার (উপাচার্য অপসারণের আন্দোলন) পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেদিক খেয়াল রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হল, ক্লাস ও লাইব্রেরি খুলে দেওয়া সহ ৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন তারা।

প্রস্তাবগুলো হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে অচলাবস্থার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন ছুটি কমানো, চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে অনিশ্চয়তা দূর করে আটকে থাকা ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনা অজ্ঞাতনামা মামলা তুলে নেওয়া এবং শিক্ষকদের ওপর হামলার তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা, আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ, দুর্নীতির তদন্তের রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের আন্দোলন স্থগিত এবং তদন্তের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিস্থিতির স্বার্থে উভয়পক্ষকে কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকা।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বন্ধের মধ্যেই উপাচার্যের অপসারণ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন চলমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। যার আজকে শেষ দিন ছিল। তবে আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কেআই/এসি