ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবির ডিলারের মাধ্যমে ৪৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকীর উপস্থিতিতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানতে পেরে সকাল থেকেই লোকজন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এসে লাইনে এসে দাঁড়ায়। পুরুষ ও মহিলারা দুইটি পৃথক লাইনে দাড়িয়ে জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ কেনা শুরু করে। লোকজনের ভীড় এড়াতে এবং সুশৃংখলভাবে যাতে লোকজন পেঁয়াজ কিনতে পারেন সেজন্য সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয়। রোজগার ট্রেডার্স নামে টিসিবির একজন ডিলারের মাধ্যমে এ পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ভাষা চত্বরের ফটক বন্ধ করে জানানো হয়, লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের দিয়েই শেষ হবে পেঁয়াজ বিক্রির কাজ। পুলিশ কনস্টেবল মোঃ হেলাল মাইক হাতে এ ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ভীড় কমতে থাকে।
রোজগার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারি নুরুন্নাহার বেগম জানান, বুধবার বিকেলে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানানো হয়। আমাদেরকে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বেশ ভালোভাবেই পেঁয়াজ বিক্রি করা গেছে। পেঁয়াজ কিনে বেরুনোর সময় পৌর এলাকার পৈরতলার পারুল বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দোকান থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। এখানে কমদামে বিক্রি হচ্ছে জেনে লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছি। পেঁয়াজ কিনে যাওয়ার সময় পৌর এলাকার মেড্ডা গ্রামের আব্দুস সামাদের-(৭০) জানান, গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় বাজার থেকে ২৪০ টাকা দরে তিনি এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন।
গতকাল বুধবার পৌর কার্যালয়ে কাজে এসে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কথা শুনে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেন। পেঁয়াজ কিনতে আসা মোঃ শাহ আলম, মোঃ আলীসহ আরো কয়েকজন টিসিবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, ‘টানা কয়েকদিন এ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। আশা করি আগের দামেই বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনা যাবে। পেঁয়াজ বিক্রি তদারকি করতে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, জনপ্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে। তিন দিনে মোট তিন টন পেঁয়াজ দেয়া হবে। শনি ও রবিবার একইস্থানে পেঁয়াজ বিক্রি হবে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, প্রাথমিকভাবে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আপাতত একস্থানেই পেঁয়াজ বিক্রি হবে। আরো বরাদ্দ পাওয়া গেলে কার্যক্রমের বিস্তার ঘটানো হবে।
আরকে//