১৬২৬৩ তে ফোন করলেই মিলবে চিকিৎসক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে সরকার। স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ তে ফোন করলেই মিলছে চিকিৎসক। রাত ও দিনের যে কোন সময় ফোন করলেই এ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। মুঠোফোন বা যেকোনো ফোন থেকে ১৬২৬৩ নম্বরে ডায়াল করে যেকোন সমস্যা নিয়ে কথা বলা যাবে চিকিৎসকের সঙ্গে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টেলিফোনের মাধ্যমে এ সেবা চালু করে। সেবাটি স্বাস্থ্য বাতায়ন নামে পরিচিত। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৫ জন এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ নিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন দিনে এক লাখ কল গ্রহণ করার মতো প্রযুক্তি ও জনবলের সক্ষমতা তাঁদের আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম বলেন, ‘মানুষ যেন বিনা পয়সায় সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ পায়- সেটাই ছিল স্বাস্থ্য বাতায়ন প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি হাতুড়ে চিকিৎসকের খপ্পরে না পড়ে মানুষ যেন সঠিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়, তা নিশ্চিত করাও ছিল এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য।’
কল সেন্টারে ৮০ জন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক রয়েছেন বলে জানা যায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি ভবনে ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩’ এর কার্যালয়। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিনই এই কেন্দ্র খোলা থাকে। দিনে তিন পালায় চিকিৎসকেরা ফোনে কথা বলেন। এক পালায় ১২ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক কাজ করেন। বিনামূল্যে এ সেবা দিচ্ছে সরকার।
জানা যায়, সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য বাতায়ন পরিচালনা করছে সিনেসিস আইটি নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে আরও বেশিসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্সকে স্বাস্থ্য বাতায়নের নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। উবারের মতো সেবা এখান থেকে পাওয়া যাবে। ঢাকা শহরে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিককেও স্বাস্থ্য বাতায়নের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এতে কমিউনিটি ক্লিনিকে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গ্রামের মানুষকে সেবা দিতে পারবেন।’
এ স্বাস্থ্য বাতায়নে আসা ফোন বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা দেখেছেন, আগত ফোনের মধ্যে ৭৭ শতাংশ আসে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য। তবে বাকিরা ফোন করেন স্বাস্থ্য বাতায়ন কি বিষয়টি জানতে। বেশি ফোন আসে রাজধানীর মধ্য থেকে এবং ঢাকার বিভিন্ন জেলা থেকে। তবে সব চেয়ে কম ফোন এসেছে রাজশাহী থেকে তা হলো ৪ শতাংশ। নারীরা এ বাতায়নে ফোনে আগ্রহী হচ্ছেন না। প্রায় ৬৫ শতাংশ ফোনই এসেছে পুরুষদের কাছ থেকে।
স্বাস্থ্য বাতায়ন সূত্রে জানা যায়, কিশোর-কিশোরীদের ফোন করে পরামর্শ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। অনেকে মাদকের সমস্যার সমাধান খুঁজতে ফোন করেন। অনেক কিশোরী যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার জন্য নির্ভরযোগ্য স্থান হিসেবে এখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে মনের কথা খুলে বলে। এখানে পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা কম থাকায় আগ্রহ দেখা গেছে।
এমএস/এসি