ওয়াইফাইর জনক জগদীশ চন্দ্র বসু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে WiFi একটি খুব পরিচিত শব্দ। ওয়াইফাই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আমরা বিভিন্ন ভাবে WiFi ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি এই WiFi কে আবিষ্কার করেছিলেন? যদিও বিশ্ব দরবারে এটি স্বীকৃতি নয়, তবে এটা দাবি করা যায় যে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুই এর সূত্র আবিষ্কার করেন।
জগদীশ চন্দ্র একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে তিনিই আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞানী মার্কনি রেডিও আবিষ্কারের আগেই জগদীশ চন্দ্র বসু বিনা তারে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে তথ্য-সংকেত বিনিময়ে সক্ষম হয়েছিলেন এবং প্রদর্শনও করেছিলেন। পদার্থবিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের নানা শাখায় তিনি বিভিন্ন সমস্যা সামধানের চেষ্টা করেছিলেন। বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ ছিল, বিশেষ করে জীব পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও পুরাতত্ত্ব—এগুলো নিয়েও তাঁর কাজ আছে। এত কাজ তিনি কীভাবে করলেন তা নিয়েও কৌতূহল আছে।
তার সৃষ্টিতেই বিশ্ব পেয়েছে তারবিহীন যাবতীয় যোগাযোগ প্রযুক্তি। রেডিও থেকে শুরু করে টেলিভিশন, মোবাইল, ওয়াইফাই, রাডার, উড়োজাহাজ, জাহাজ, সাবমেরিন, স্পেস শিপ, স্পেস স্টেশন পর্যন্ত যত প্রযুক্তি যোগাযোগের জন্য পৃথিবীতে আছে এবং যত প্রযুক্তি আসবে তার পিছনে অমূল্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই জগদীশ।
সুতারাং বলাই যায় যে তিনিই WiFi এর জনক।
পৃথিবীর বড় বিজ্ঞানীরা যেখানে ৬০ মিলিমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রেডিওয়েভ নিয়ে কাজ করতে পারছিলেন না, সেখানে জগদীশ চন্দ্রই প্রথম পাঁচ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের রেডিও তরঙ্গে সংকেত বিনিময় আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি দুই শ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেছিলেন। ভারতবর্ষে পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানচর্চা (এক্সপেরিমেন্টাল সায়েন্স) তাঁর হাত ধরেই আসে।
জগদীশ চন্দ্র বসু অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ নিয়ে দীর্ঘ আঠারো মাস গবেষণা করেন। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান। ১৮৮৭ সালে বিজ্ঞানী হের্ৎস প্রতক্ষভাবে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। এ নিয়ে আরও গবেষণা করার জন্য তিনি চেষ্টা করছিলেন যদিও শেষ করার আগেই তিনি মারা যান।
এসএ/