ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

২৯ রান করে ফেরেন সাদমানও

২৯ রান করে ফেরেন সাদমানও

ইডেনে গোলাপি বলের ঐতিহাসিক টেস্ট খেলতে নেমে দ্রুতই ছয় উইকেট হারিয়ে বেশ বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ভারতীয় পেসারদের তোপে দলীয় রান ১৫ রানেই কায়েসকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল্লাহ। যাতে দলীয় ৬০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। 

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২১ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৯ রান। লিটন দাস ২০ রানে এবং নাঈম হাসান শূন্য রানে ক্রিজে আছেন। 

এর আগে ইন্দোর টেস্টের মতো এদিন ইডেনেও হতাশ করেন ইমরুল কায়েস। মাত্র ৪ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লুর শিকার হন এই ওপেনার। এর আগে ওই ওভারের প্রথম বলে রিভিউ নিয়ে কট বিহাইন্ড থেকে বেঁচেও যান তিনি। তবে এবার আর বাঁচতে পারেননি, এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তে রিভিউ নিলেও ভুল প্রমাণিত হন বাংলাদেশের এ ওপেনার। 

এরপর মুমিনুল হক ও সাদমানের জুটিও বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭ বল খেলা মুমিনুল রানের খাতা খোলার আগেই উমেশের শিকার হন। স্লিপে তার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রোহিত শর্মা। মোহাম্মদ মিঠুন এসেও টিকতে পেরেছেন মাত্র ২ বল। উমেশের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হন মিঠুন (০)। 

পরের ওভারেই বিপর্যয় আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। মোহাম্মদ শামির বলেও সরাসরি বোল্ড হন মুশফিক। খেলেছেন মাত্র ৪ বল। 

মাত্র ১১ বলের মধ্যে ফিরেছেন এ তিন ব্যাটসম্যান। এক সাদমানই যা একটু লড়াই করছিলেন। তবে উমেশ যাদবের গতির কাছে দ্রুতই পরাজিত হন তিনিও। ব্যাটের কানাই লেগে বল ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসবন্দি হলে ফিরতে হয় তাকেও। ফেরার আগে ৫২ বল খেলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করেন এই ওপেনার। 

ফলে দলীয় ৩৪ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাকে নিয়ে লিটন এই বিপর্যয় থেকে দলকে যখন টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন, ঠিক তখনই টাইগার শিবিরে আবারও আঘাত হানেন ইশান্ত শর্মা। এবার তার শিকার মাহমুদউল্লাহ। উইকেটের পিছনে ঋদ্ধিমান সাহার দুর্দান্ত এক ক্যাচে কাটা পড়েন রিয়াদ। ২১ বল খেলা মাহমুদুল্লাহ যখন এক বাউন্ডারিতে ৬ রান করে ফেরেন তখন দলের স্কোর ৬০/৬। 
অর্থাৎ আউট হওয়া ছয় ব্যাটসম্যানের স্কোর যথাক্রমে ৪,০,০,০,২৯ ও ৬। তরুণ নাঈম হাসানকে নিয়ে এখন ইনিংস মেরামতের চ্যালেঞ্জ সামলাচ্ছেন লিটন দাস। 

এর আগে ঐতিহাসিক এই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় খেলা শুরু হয়।

ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজিয়ে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘণ্টা বাজিয়ে খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্ট মাত্র তিনদিনে ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই সিরিজের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে নতুন করে আগাতে চায় বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এ ম্যাচকে স্মরণীয় করতে মরিয়া মুমিনুল হকরা। তাইতো, এ ম্যাচে ফিরতে বেশ আটঘাট বেধেই নামছে তারা।

অন্যদিকে, নিজেদের মাঠে ও টেস্ট ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালী স্বাগতিক ভারত। টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়, চলমান টেস্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এগিয়ে রয়েছে তারা। ওই ম্যাচ থেকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই জানা টিম ইন্ডিয়ার। তারপরও, বেশ চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারাও মাঠে নামছে আজ।

এদিকে, গোলাপি ম্যাচে টাইগার একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। পেসার এবাদত হোসেনের জায়গায় ঢুকেছেন আল-আমিন হোসেন। আর স্পিনার তাইজুল ইসলামের স্থানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন নাঈম হাসান।

বাংলাদেশ একাদশ:
ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন, আল আমিন হোসেন।

ভারত একাদশ:
রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।

এনএস/