ইমার্জিং কাপ
চাপ সামলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১০ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার
প্রথমবারের মত ইমার্জিং কাপের ফাইনালে পাকিস্তনের বিপক্ষে খেলতে নেমে শুরুটা ঝড় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নেমে বিধ্বংসী চেহারায় হাজির হয়েছিলেন সৌম্য।
কিন্তু পাকিস্তানের পেসার সামিন গুলকে পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে দলীয় ২৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন এই বাহাতি।
তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মাদ নাঈম। মোহাম্মাদ হাসনাইনের বলে ইমরান রফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তাদের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে সে চাপ সামলিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ও ইয়াসির আলী। দু’জনের অর্ধশত পার্টনারশিপে ১৫ ওভারে ৯১ রান তুলে বাংলাদেশ।
তবে, তাদের জুটি আর এগুতে দেননি পাক্তিতানি বোলার আমাদ বাট। ৩১ বলে ২২ রান করে তার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ইয়াসির।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৯৯ রান। ক্রিজে নাজমুল হাসান শান্ত ৪১ ও আফিফ হোসাইন ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়েং নেমে বাংলাদেশের সামনে ৩০২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় পাকিস্তান। শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সে ধাক্কা সামলে নেন রোহাইল নাজির ও ইমরান রফিক।
এ ম্যাচেও ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যক্তিগত ২৪ রানের মাথায় জীবন পেয়েছিলেন রোহাইল নাজির। পরে তিনিই বাংলাদেশের বোলারদের জন্য হয়ে ভয়ংকর, করেন সেঞ্চুরি।
তার শতকে ভর করেই মিরপুরে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ৬ উইকেটে ৩০১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ শিরোপা জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩০২ রান।
সকাল সাড়ে ৯টায় মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই আঘাত হানেন সুমন খান। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন উমর ইউসুফ (৪)। তারপরও আরেক ওপেনার হায়দার আলি ঠিকই ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। ২৩ বলে ২৬ রান করা এই ওপেনারকেও টেনে ধরেন সুমন খানই, নাইম শেখের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে।
৪১ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে সেই বিপদ সামলে ওঠেন রোহাইল নাজির আর ইমরান রফিক। এই উইকেটে তারা যোগ করেন ১০৭ রান। ১১৩ ও ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রোহাইল ও ইমরান রফিক। পাকিস্তানের পক্ষে এছাড়া ৪০ বলে ৪২ রান করেন অধিনায়ক সৌদ শাকিল।
বাংলাদেশের পক্ষে ৭৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সুমন খান। এছাড়া, হাসান মাহমুদ ২টি আর মেহদি হাসান নেন ১টি উইকেট।
এআই/