ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

১০ দিনে নিয়ন্ত্রণে আসবে পেঁয়াজ বাজার: বাণিজ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪১ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

আগামী ১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার ‘সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে’ বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শনিবার রাজধানীর অভিযাত একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ উঠা শুরু হবে। তখন বাজার নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হবে। এছাড়া আশা করছি, ২৯ তারিখের মধ্যে কম করে হলেও ১২ হাজার টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে।

পেঁয়াজের দাম কমার পর আবারও বাড়ার কথা স্বীকার করে টিপু মুনশি বলেন, সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম কমে এলেও পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আবার দাম কিছুটা বেড়েছে। গত চার দিন ধরে ট্রান্সপোর্টের একটা সমস্যা হচ্ছে, ট্রাক পাচ্ছে না। এটাও একটা কারণ। এখন এই খবরটা দেওয়া দরকার যে, আর কয়েকটা দিনের মধ্যে ইম্প্রুভ করবে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম ওইভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছে না, শুক্রবার আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গতকাল (শুক্রবার) উত্তরার বাজার থেকে আমি নিজে কিনেছি ১৪০ টাকা করে দেশি পেঁয়াজ। এটা তো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম।

পেঁয়াজের দাম কেন কমছে না প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “পেঁয়াজের ব্যপারে প্রথম কথা হল, এটা দুইশ টাকার উপরে উঠেছিল। আপনারা জানেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এমনকি এয়ারে (বিমানে) করে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন দামটা নেমে এসেছে। এখন মিশর বা টার্কি থেকে যেটা আসছে সেটা ১২০ টাকা। আর আমাদের দেশি পেঁয়াজটা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কোথাও অস্বাভাবিক দাম রাখা হলে সেটা সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা উচিত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি কোনো একজন মানুষ কোথাও থেকে ২০০ বা ১৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কেনার কথা বলে তাহলে সেটা অবশ্যই নিউজ হতে পারে না।”
পেঁয়াজ নিয়ে একটি সংবাদের সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কোনো একটা চ্যানেলে একটা নিউজ আসছে। সেখানে এক রিকশাওয়ালা বলছে যে, আমি ৫০০ টাকা রোজগার করি ২০০ টাকা দিয়ে যদি আমি পেঁয়াজ কিনি তাহলে তো আমার ৩০০ টাকা হাতে থাকবে।

তবে বাস্তবতা হল একজন মানুষ আমাদের দেশে পরিসংখ্যান বলে, একজন মানুষ ৩৫ গ্রাম পেঁয়াজ খায়। সেই রিকশাওয়ালার পরিবার যদি চারজনের পরিবার হয় তাহলে তার লাগে ১৪০ গ্রাম। ২০০ টাকা কেজি করে ধরলেও ১৪০ গ্রামের দাম ৩০ টাকার বেশি না। কিন্তু কথাটা এভাবে বলা হয়েছে, আমি ২০০ টাকা দিয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনলে পরে ৩০০ টাকা দিয়ে আমার সংসার চলবে কীভাবে? দ্যাট ইজ নট রিয়েলিটি।

পেঁয়াজ সংকটের চিত্র তুলে ধরে টিপু মুনসি বলেন, “আমাদের ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এই ২৫ শতাংশের ৯০ ভাগ আসে ভারত থেকে। ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।

সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরে প্রতিমাসে আমাদের ১ লাখ টন করে আমদানি হত। সেখানে সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৫ হাজার টন, ৭৫ হাজার টন ঘাটতি থাকল। অক্টোবরে ২৪ হাজার টন এসেছে, সেখানেও ৭৬ হাজার টন ঘাটতি। এখন আমাদের পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।

এদিকে রাজধানীর শ্যামবাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৮০, মিয়ানমারের ১৭০, পাকিস্তানি-১৫৫ থেকে ১৬০, মিশরীয়-৯০ থেকে ১১৫ এবং চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকা দরে। দাম তদারকি করতে কারওয়ানবাজারে ভোক্কা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান চালায়। সেখানে দামের বিষয়ে কোন অসঙ্গতি পাননি তারা।

আরকে//