টেস্টে সাফল্য পেতে বাংলাদেশকে কোহলির পরামর্শ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার
বিরাট কোহলি ও ইমরুল কায়েস
সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে টেস্টে কোনরূপ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই হেরেছে তিন দিনে। ইন্দোরে ইনিংস ও ১৩০ এবং কলকাতায় ইনিংস ও ৪৬ রানের পরাজয় নিয়ে দেশে ফিরছে মুমিনুলরা। টাইগারদের এমন ভরাডুবি কাটিয়ে টেস্টের সঠিক আমেজে ফিরতে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
কিছুটা হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণা আছে বিরাট কোহলির। সেই ধারণা থেকেই টেস্টে উন্নতির জন্য কিছু পরামর্শ দিলেন ভারত অধিনায়ক। যদিও এমন একপেশে লড়াইয়ের পর প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মূল্যায়ন করা কঠিন। তবুও কোহলি মনে করেন, অভিজ্ঞতার ঘাটতিই বাংলাদেশকে বেশ পিছিয়ে দিয়েছে।
ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথমত, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুজন ক্রিকেটার ছাড়াই তারা খেলেছে। সাকিব নেই, তামিম নেই। মুশফিক আছে, মাহমুদউল্লাহ আছে, কিন্তু কেবল দুজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দিয়ে আপনি একটা দলের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু আশা করতে পারেন না।’
কোহলি আরও বলেন, ‘দলটির বাকি ক্রিকেটাররা তরুণ, তাই তারা এখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। তারা যত বেশি টেস্ট খেলবে তত বেশি অভিজ্ঞ হবে। কিন্তু আপনি যদি এখন দুটো টেস্ট খেলেন এবং এরপর আবার দেড় বছর পর টেস্ট খেলতে নামেন, তাহলে চাপের পরিস্থিতিতে ঠিক কিভাবে খেলতে হয় আপনি তা বুঝতে পারবেন না।’
তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে কোহলির কোন সংশয় না থাকলেও উন্নতির জন্য টেস্ট ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলেই মনে করেন তিনি। বলেন, টেস্ট ক্রিকেটকে তারা কতটা গুরুত্ব দেয় তার উপর নির্ভর করবে তাদের অগ্রগতি।
কোহলি বলেন, ‘দক্ষতা অবশ্যই আছে। যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, যোগ্য বলেই খেলছে। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝা বা কি করে আরও ভালো করতে হয় সেটা বোঝা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বোর্ড ও খেলোয়াড়দেরকে অনুধাবন করতে হবে তাদের কাছে এটার গুরুত্ব কেমন। কেবলমাত্র তখনই আপনি টেস্ট ক্রিকেটে সামনে এগোতে পারবেন।’
এছাড়া, টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য বোর্ডই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমি মনে করি, ক্রিকেটারদের ভূমিকা শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত থাকে। আপনার ক্রিকেট বোর্ড এটা কিভাবে সামলাচ্ছে, সেটার একটা ভূমিকা থাকে। যদি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে তাকাই, সেখানে কয়েক বছর ধরেই একটা ইস্যু চলছে। আমি নিশ্চিত নই, টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের বোর্ড কিভাবে আলোচনা করে, কিভাবে এটাকে প্রমোট করা হয় বা কতটুকু গুরুত্ব দেয়া হয়।’
পরিশেষে, টেস্টে উন্নতিকল্পে শুধু আবেগ থাকলে চলবে না, ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন ভারত অধিনায়ক। যার উপর ভিত্তি করেই সুফল পেয়েছে ভারত। কোহলি মনে করেন, আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে টেস্ট ক্রিকেটাররা আরও বেশি আত্মনিবেদিত হয়ে খেলতে পারবেন। তাহলেই আসবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
এনএস/