ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য দশ টাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন
ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৫:৫১ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার
ভেন্ডিং মেশিন হল এক ধরনের যন্ত্র। যা গ্রাহক মুদ্রা বা ক্রেডিট কার্ড সন্নিবেশিত করার পর বিভিন্ন পণ্য যেমন নাস্তা, পানীয়, বিভিন্ন তামাক দ্রব্য, লটারির টিকিট, ভোক্তাপণ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিতরণ করে। এমনকি সোনা এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিতরণ করা যায়। সেই ভেন্ডিং মেশিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্যনিটারি ন্যাপকিন বিতরণে ব্যবহার করা হলেও বাংলাদেশে এর প্রচলন নেই বললেই চলে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সুবিধার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ডাকসুর উদ্যোগে মেয়েদের ৫টি হলে ও ক্যাম্পাসের ৫টি জায়গায় স্থাপন করা হবে এই মেশিন। দ্রুতই ভেন্ডিং মেশিনের কার্যক্রম অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবে ডাকসু।
জানা যায়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে যেকোনো সময় ছাত্রীরা ১০ টাকার নোট দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করতে পারবেন। ২০০১ সালের পর থেকে প্রচলিত যেকোনো দশ টাকার নোট দিলেই একটি ন্যাপকিন বেড়িয়ে আসবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৪ টাকা। দাম বৃদ্ধি পেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা দশ টাকায় এই সেবাটি পাবেন।
মেশিনের পাশেই দুটো ডিসপোজাল বিন এবং দুটো তোয়ালে দেওয়া থাকবে। স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি ও যেকোনো সমস্যা সমাধানে প্রতিটি ভেন্ডিং মেশিনের কাছে একজন নারী অপারেটর থাকবেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হুসেইন সাদ্দাম হোসেন বলেন, মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। এটি বাস্তবায়ন করা ছিল আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
টেকসই, বাস্তবায়নযোগ্য, সুলভ মূল্য ও ব্যবহার উপযোগী কিছু করা, ট্যাবু ভাঙা এবং সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা- সবকিছু ভেবেই আমাদের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে মেয়েদের ৫টি হলে এবং ক্যাম্পাসের ৫টি স্থানে এটির ব্যবস্থাপনা শুরু হতে যাচ্ছে।
২০২১ সালের পর থেকে প্রচলিত ১০ টাকার নোট দিয়ে মেয়েরা এটি ব্যবহার করতে পারবে। ভবিষ্যতে বর্তমান বাজারমূল্য ১৪ টাকার চেয়ে যদি বৃদ্ধিও পায়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা এ দামেই সেবাটি পাবেন।
স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রয়োজনীয়তা গ্রামের বহু পরিবার তো বটেই, এমন কী শহরেও অনেকে বুঝতে চান না। তাই অনেক পরিবারেই মেয়েদের কাপড় ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।
সেগুলি কোনোভাবে ধুয়ে অন্ধকার জায়গায় রেখে ফের ব্যবহার করা হয়। কাপড় ব্যবহার করলেও তা ভালো করে পরিষ্কার করে রোদে শুকোতে হয়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে অন্ধকার ঘরে ওই কাপড় রেখে দেয় অনেক কিশোরীই।
ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা ক্রমে বাড়তে থাকে। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কৈশোরের এই সংক্রমণ পরবর্তী সময়ে বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
এআই/এসি