ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

বিদিশাকে জিএম কাদেরের আইনি নোটিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে শাহাতা জারাব এরশাদ এরিককে সম্পদের লোভে নির্যাতন করেছেন জিএম কাদের’- এমন অভিযোগে জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে জানিয়ে বিদিশা সিদ্দিককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব।

ওই নোটিশে এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশাকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বলা হয়। শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাবের পক্ষে অ্যাডভোকেট এম. এম সালাহ্উদ্দিন আহম্মদ আইনি নোটিশটি পাঠান। বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে জাতীয় পার্টির একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ বিষয়টি জানায়।

সূত্রের দাবি,‘বিদিশার দেওয়া এমন বক্তব্য জিএম কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এতে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বিদিশার দেওয়া বক্তব্যে জাতীয় যুব সংহতি ও জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মর্মাহত।’

আইনি নোটিশসূত্র জানায়, এরশাদ মৃত্যুর কিছুদিন আগে তার সকল সম্পত্তি 'ডিড অফ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট' এর মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার দিকনির্দেশনা দিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেছেন যা সম্পূর্ণ আইনগতভাবে ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত। এখানে জিএম কাদেরের কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। ট্রাস্টের সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসা, গুলশানের দুটি ফ্ল্যাট, বাংলামোটরের দোকান, রংপুরের কোল্ডস্টোরেজ, পল্লিনিবাস, রংপুরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়, ১০ কোটি টাকার ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিটসহ কিছু সম্পত্তি।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর থেকে বিদিশা প্রেসিডেন্ট পার্কে ছেলে এরিক এরশাদের সঙ্গে বসবাস করে আসছেন। এরপর ১৮ নভেম্বর বিদিশাকে প্রেসিডেন্ট পার্কে নিজের সঙ্গে রাখতে থানায় জিডি করেন এরিক এরশাদ। এরপর গত ২৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট পার্কে বিদিশার থাকাকে অবৈধ বলে দাবি করে থানায় জিডি করেন মেজর (অব.) খালেদ আখতার।

গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান এইচ এম এরশাদ। এরপর থেকে বিদিশা অভিযোগ করে আসছেন, তাকে তার ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’ ছেলে এরিক এরশাদের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না জিএম কাদের।