জঙ্গি হামলার রায় মাইলফলক: যুক্তরাষ্ট্র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২২ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:২৮ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা (বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা) মামলায় ৭ আসামিকে (আট আসামি) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। বিষয়টিকে বিচার ব্যবস্থার মাইল ফলক বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এ রায়ে সেদিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কিছুটা হলেও কষ্টের অবসান হবে বলে মনে করে দেশটি। বুধবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার বিচার সমাপ্ত হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছে। আজকের রায় এর ফলে সেদিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কিছুটা হলেও কষ্টের অবসান হবে। এই বিচার বাংলাদেশের জন্য মাইলফলকস্বরূপ।’
যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার পুরো তদন্তকাজে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে পেরে সম্মানিত। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বিশেষ করে আইনের শাসন পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
‘এই ভাবগম্ভীর মুহূর্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাধারণ নাগরিক এবং ঘৃন্য ওই সন্ত্রাসী হামলার মোকাবেলায় হতাহত বাংলাদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রিয়জনদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় গভীরতম শোক প্রকাশ করছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ২২ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হন। আলোচিত এই ঘটনায় এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি প্রায় দুই বছর তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগ গঠন করে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে শুরু হয় বিচারকাজ।
আভিযান চলাকালে জঙ্গিদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি।
বুধবারের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
এমএস/এসি