কাশ্মিরি নারীদের ধর্ষণ করছে ভারতীয় বাহিনী: এইচআরডব্লিউ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
কাশ্মিরে ধর্ষণের শিকার নারীরা
অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের নারীদের ধর্ষণে মেতে উঠেছে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। রাজ্যটিতে মোদি সরকারের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কাশ্মিরিদের মনোবল ভাঙে দিতে এবং প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, কাশ্মিরিদের ভারত-বিরোধী মতোবল ভাঙতে সেখানকার নারীদের রীতিমতো টার্গেটে পরিণত করেছে ভারতীয় বাহিনী। তাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত কাশ্মিরি নারীরা ধর্ষণের শিকার হলেও দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে। ফলে কাশ্মিরে ধর্ষণের ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এইচআরডব্লিউ'র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৯০ এ ভারতীয় বাহিনীকে অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পুরোপুরি দায়মুক্তি দিয়েছে রাষ্ট্রটি।
চলতি বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক ‘ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা’ বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক আটকে রাখা, বেআইনি কারাবন্দির মৃত্যু, গুম, দুর্ব্যবহার এবং নানা ধরনের নির্যাতনের বেশ কিছু অভিযোগ নথিভুক্ত করে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদবনও প্রকাশ করে সংস্থাটি।
এদিকে, গত ২৫ নভেম্বর থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিকভাবে ১৬ দিনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর এ দিনটি বিশ্বজুড়ে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়। চলতি বছর ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তা মারিয়া লুইজা ভিওট্টি সতর্ক করে বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। কিছু অঞ্চলে এই হার অনেক বেশি।
যুদ্ধ-সংঘাতে যৌন সহিংসতাবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমীলা প্যাটেন জানান, যৌন সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও তা বন্ধ করা যায়নি। বিষয়টির এখনই অবসান ঘটাতে হবে।
এনএস/