ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ধারাবাহিক সমাবর্তনে উৎফুল্ল রাবির গ্রাজুয়েটরা

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

সমাবর্তনে উপস্থিত গ্রাজুয়েটরা

সমাবর্তনে উপস্থিত গ্রাজুয়েটরা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তন শুরু হয়েছে আজ (৩০ নভেম্বর)। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

সমাবর্তনের প্রধান বক্তা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইতিহাসবিদ রঞ্জন চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এক বছর পর নতুন সমাবর্তন পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সমাবর্তনে অংশ নেয়া গ্রাজুয়েটধারী শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে গ্রাজুয়েটদের আনাগোনায় ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। চিরচেনা ক্যাম্পাসে অনেক দিন পরে এসে অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। কতনা স্মৃতি জড়িয়ে আছে প্রিয় মতিহারের সবুজ চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শতশত গ্রাজুয়েট গাউন ক্যাপ পড়ে মুখরিত করে তুলেছেন প্রিয় ক্যাম্পাসকে। 

সমাবর্তনে অংশ নেয়া সমাজকর্ম বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাওয়া নিয়মিত সমাবর্তন হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাবর্তনের আয়োজন করেছে সেজন্য ধন্যবাদ জানাই। নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করলে বেশি সংখ্যক গ্রাজুয়েট অংশ নিতে পারবে।’

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মো. মিলন বলেন, ‘সত্যি অনেক ভালো লাগছে। কেননা ধারাবাহিক সমাবর্তন আয়োজন করা হচ্ছে। শিক্ষা জীবনের শেষে দু’তিন বছরের মাথায় সমাবর্তন পেয়েছি। প্রশাসন সত্যি প্রশংসার দাবিদার। সমাবর্তনে গ্যাপ পড়ে গেলে অনেকেই অংশগ্রহণ করতে চায়না। কারণ অনেকে বেকার থাকে অথবা চাকরির ব্যস্ততার জন্য সমাবর্তনে অংশ নেয়না। তাই আশা রাখি, এখন থেকে প্রতিবছর সমাবর্তন আয়োজন করবে প্রশাসন।’

অন্যান্য গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ক্যাম্পাসে এসে এত আনন্দ হচ্ছে যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দূরে থাকলেও ক্যাম্পাসকে আগের মতোই ভালবাসেন তারা। 

ক্যাম্পাসে কাটানো সময়, আড্ডা-গল্প, ক্যাম্পাস চষে বেড়ানো এসব আর ফিরে আসবে না। তারপরেও ক্ষণিকের জন্য অতীতকে বর্তমানে ফিরে পেতে আগ্রহ-উদ্যোমের কমতি নেই গ্রাজুয়েটদের। তাদের চোখে-মুখে যেন পুরনো দিনগুলোকে ফিরে পাওয়ার ভাবনা। তারা দাবি জানান, সমাবর্তন আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সমাবর্তন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম. আবদুস সোবহান বলেন, ‘বেশি সংখ্যাক গ্রাজুয়েট যাতে সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেন, সেজন্য এখন থেকে প্রতিবছর সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে।’

প্রসঙ্গত, একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিয়েছে ৩ হাজার ৪৩১ জন গ্রাজুয়েট। এর মধ্যে কলা অনুষদের ১০টি বিষয়ে মোট ৬৬৬ জন, আইন বিভাগের ৮৯ জন , বিজ্ঞান অনুষদের  ৮টি বিষয়ে ৩৭৭জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ৫০৫ জন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের  ৯টি বিষয়ে ৫৮২ জন, কৃষি অনুষদের ৪টি বিষয়ে ৮৫জন, জীব ও ভূ- বিজ্ঞান অনুষদের ৬টি বিষয়ে ৩১০ জন, প্রকৌশল অনুষদের ৫টি বিষয়ে ১৩৫, চারুকলা অনুষদের ২টি বিষয়ে ৪৩জন, ও ইন্সটিটিউটসমূহে ৬ জন গ্রাজুয়েট স্নাতকোত্তর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নিবন্ধন করেছে। তাছাড়া এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রির জন্য যথাক্রমে ৫১১ ও ১২৩ জন নিবন্ধিত হয়েছে।

এআই/এনএস