ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ
দুই ভাই হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার
কুষ্টিয়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় চাঞ্চল্যকর দুই ভাই হত্যা মামলায় ৪ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৭ জনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের মৃত নুরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা।
এছাড়াও আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল ফকিরাবাদ গ্রামের আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা মেয়েটির দাদা স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিযে হত্যা করে।
ভাইকে বাঁচাতে গুরুতর আহত হন মিজানুর রহমান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতের দেয়া রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মামলার বাদী জাহারুল ইসলাম।
এআই/