ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজই ভরসা!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:১৯ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পূর্ব সীমানা দিয়ে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলায় যাওয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ মির্জাপুর-হরষপুর সড়ক। এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার অন্তত ২০-২৫টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াত করেন।
এ রাস্তার মধ্যে হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমপার্শ্বের একটি ব্রিজ ভেঙে আছে, সেই অংশে কাঠ দেওয়া রয়েছে। কিছু দিন আগে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজের পূর্বের ভাঙা অংশ সংস্কার করেন। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই ব্রিজের পশ্চিম অংশ ভেঙে যায়। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং জনসাধারণ যাতায়াত করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিজয়নগর ও মাধবপুর দুই উপজেলার হাজার হাজার পথচারীরা ঝুঁকির্পূণ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করছেন। মাধবপুর উপজেলার আলাল মিয়া তার পরিবার নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে বিজয়নগরের যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসলে, হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে ব্রিজের কাছে এসে ভেঙে যাওয়া অংশের উপর কাঠ দেখে সিএনজি সামনের দিকে আসতে ভয় পেলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পরিবারসহ পার হন।
নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাসু ও নবম শ্রেণির ছাত্রী লাকি বলেন, এ নিয়ে দুইবার ব্রিজটি সংস্কার করা হয়েছে। তারপরও কয়েকদিন পর পর ভেঙ্গে যায়। আতংকের মধ্যে আমরা ব্রিজটি পার হচ্ছি। কখন জানি ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাই।
বিজয়নগর উপজেলার বুল্লা গ্রামের বাসিন্দা মো. সুমন মিয়ার বাড়িতে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা মেহমানদের ঢাকাগামী জয়ন্তিকা ট্রেনে তুলে দেওয়ার জন্য হরষপুর রেলস্টেশনে মাইক্রো নিয়ে যাওয়ার পথে সব যাত্রীদের নামিয়ে ড্রাইভার সোহেল মিয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একা গাড়ি পার করিয়ে আবার সব যাত্রীদের গাড়িতে তোলেন। প্রতিদিন অগণিত পথচারীকে এ ধরনের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
বিজয়নগর উপজেলা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি স্থানীয় বাসিন্দা মো.কামরুল হাসান বলেন, দুই উপজেলার মানুষের যাতায়াত করার জন্য এই ঝুঁকির্পূণ ব্রিজটি খুব তাড়াতাড়ি ঠিক করা হোক।
যখন যে অংশটুকু ভেঙ্গে যায়, তখন ওই অংশটুকু কাজ করে। এমন না করে যেন ভালভাবে কাজ সম্পূর্ণ করে। কেননা এই ব্রিজটি এখন সাধারণ মানুষের জন্য আতংক।
হরষপুর ইউপি চেয়ারম্যান সারুয়ার রহমান বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীসহ ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ব্রিজটির ব্যাপারে জানি, দেখেও এসেছি। ব্রিজটির ভাঙ্গা অংশের স্লেপের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এআই/