ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

কাম্মুরির আঘাতে ঘরছাড়া ২ লাখ, নিহত ৪

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪২ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

কাম্মুরির আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফিলিপাইন

কাম্মুরির আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফিলিপাইন

টাইফুন যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। শুধু এ বছরেই দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলে আঘাত হেনেছে ১৯টি টাইফুন। আর এবার ২০তম টাইফুন কাম্মুরির আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ফিলিপাইনের উপকূল। শক্তিশালী এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ২ লাখের বেশি মানুষকে। 

মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এ টাইফুন আঘাত হানে বলে জানিয়েছে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুর প্রদেশের লিবিমানান শহরে নিজের বাড়ির ছাদ ঠিক করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান। বিকল অঞ্চলের সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক ক্লোদিও ইউকোট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অন্যদিকে, ওরিয়েন্টাল মিন্ডোরোর গভর্নর হুবার্ট ডলর জানিয়েছেন, বাকো শহরে বাড়ির সামনে ধ্বংসাবশেষ সাফ করার সময় একটি গাছের উপড়ে পড়ে ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া, পিনামালায়ান শহরে আরেকজন গ্যালভেনাইজড লোহার শিটের আঘাতে আহত হন।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার লেইটে প্রদেশের অর্মক শহরে ৩৮ বছর বয়সী ওপর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গাছের ডাল ভেঙে তার গায়ে পড়লে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে টাইফুন কাম্মুরির আঘাতে পর দেশটির প্রধান প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া ঝড়ের পর উপকূলীয় এলাকায় ভূমিধস ও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘণ্টায় একশ ৮৫ কিমি বেগে টাইফুর কাম্মুরি আঘাত হানে। আগামি কয়েক দিন সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সেইসঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

ভৌগোলিক কারণেই ফিলিপাইনে প্রায় প্রতি বছর নানা ধরনের ঝড় আঘাত হানে। এর আগে ২০১৩ সালে সবচেয়ে সুপার টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে প্রায় সাত হাজার তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়।

এনএস/