ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

মাছ দিয়েই উন্নত স্বাদের বিস্কুট ও চানাচুর উদ্ভাবন

ফরহাদ আলম

প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০১ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দেশের ইতিহাসে মাছ থেকে এই প্রথম ভিন্ন স্বাদের বিস্কুট-চানাচুর তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের একদল গবেষক সফলভাবে এ উদ্ভাবন শেষ করেছেন।

মাছের সঠিক ব্যবহার, ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি আর মানবদেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তারা। বিস্কুট ও চানাচুর তৈরীর গবেষণায় এক বছর ব্যায় করেছেন গবেষকরা। 

ইতোমধ্যে পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে সাউফিস বিস্কুট-১, সাউফিস চানাচুর-১, সাউফিস বিস্কুট-২ ও সাউফিস চানাচুর-২।

গবেষক দলের প্রধান এবং ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুর উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ খাবার। যা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের আমিষ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণেও অবদান রাখবে এ বিস্কুট ও চানাচুর।

উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে গবেষণা কর্মের সহযোগী ও একোয়াকালচার বিভাগের সভাপতি ড. এ এম সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘শিশুদের কাছে বিস্কুট আর চানাচুর আকর্ষণীয় খাবার। উদ্ভাবিত দুটি খাবারে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আমিষ, ২০-২৫ শতাংশ চর্বি,  এবং ২০-২৫ শতাংশ শর্করা রয়েছে। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আকর্ষণীয় খাবারের মাধ্যমে শিশুদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতেই পাঙ্গাস আর সিলভার কার্প বেছে নেয়া হয়েছে।’

গবেষক দল মাছ থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ভোগ্য পণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপাচার্য গবেষক দলের প্রশংসা করেন ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

উদ্ভাবিত এ পণ্য দুটি মাছের (পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প) ন্যায্য বাজার মূল্য পেতে চাষীদের সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। 

এমএস/এসি