নাক ডাকা দূর করতে ডাক্তারের পরামর্শ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার
বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্ক প্রায় অর্ধেক মানুষ ঘুমের মধ্যে নাক ডেকে থাকেন। গবেষণায় উঠে এসেছে, মধ্যবয়স্ক ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২০ শতাংশ নারীই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকাটাকে অনেকে বিরক্ত মনে করেন। প্রিয়জনের সঙ্গে একসঙ্গে বিভেদও ঘটে থাকে এর কারণে।
কিন্তু এটি যে একটি নিছক কোনো ব্যাপার নয়, তা অনেকেই বুঝতে চেষ্টা করেন না। এটাও যে শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে, তা জানেন না অনেকেই। তাই, জেনে রাখুন নাক ডাকার প্রধান কারণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে।
একুশে টেলিভিশনের স্বাস্থ্য বিষয়ক ‘দি ডক্টরস’ অনুষ্ঠানে নাক ডাকা নিয়ে কথা বলেছেন রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।
তিনি বলেন, ‘নাক ডাকার প্রধান কারণ হলো মোটা হয়ে যাওয়া। হাটাচলা না করলে, অধিক সময় বসে কাজ করলে মানুষের স্থুলতা বেড়ে যায়। যার ফলে ঘুমে সে নাক ডাকে।’
ডা. মনিলাল, ‘শুধু মোটা স্বাস্থ্যের কারণে নয়, অনেক সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষ নাক ডেকে থাকে। তবে, সব নাক ডাকাই খারাপ না। এটা মাত্রার উপর নির্ভর করে কতবার একজন ব্যক্তির দম বন্ধ হয়।’
এ অধ্যাপক বলেন, ‘অনেক সময় তা ধীরে ধীরে কমে আসে। এর মানে হলো দম বন্ধ হয়ে যায়। আর তা যদি ১০ সেকেন্ডের বেশি হয়, তাহলে এটি খারাপ লক্ষণ। বর্তমান সময়ে নিঃসন্দেহে এটি বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।’
এর কারণে, হাইপার টেনশন, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসের মত রোগ চেপে বসে। এছাড়াও, ধুমপান, মদ্যপান, সঠিক সময়ে না ঘুমানো, ঘুমের ঔষধ ব্যবহার প্রভূতি কারণে হতে পারে।
পাশাপাশি, ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার মানুষের ব্রেন সেলকে স্টিমুলার রাখে। ফলে, ঠিকমত ঘুম হয়না। আবার অনেক দীর্ঘ সময় না ঘুমানোর কারণে হঠাৎ ঘুমালে নাক ডাকতে পারে।
এর প্রতিকারে অধ্যাপক ডা. মনিলাল বলেন, ‘ওজন কমাতে হবে। ঠিক সময়ে ঘুমানো এবং তা যেন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা হয়। একইসঙ্গে, ধুমপান ও মদ্যপান পরিহার করে চলতে হবে।
একইসঙ্গে, প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাটা, ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া, বাম কাতে ঘুমানো ও এসিডিটি থাকলে পরিহার করে চলতে হবে।
এআই/