ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

অতঃপর নাম পাল্টে ফেললেন মিথিলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

ইনস্টাগ্রামে মিথিলা

ইনস্টাগ্রামে মিথিলা

বিয়ের পরপরই যেন একেবারেই পাল্টে গেলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী মিথিলা। গান, অভিনয় আর মডেলিংর মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া এই মানুষটি এখন পশ্চিমবঙ্গের বউ। এই বউ হতে গিয়ে পাল্টে ফেলেছেন পূর্বের রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা নামটিও। গত ৬ ডিসেম্বর কলকাতার চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করার পর সামাজিক মাধ্যমে নিজের নতুন নাম প্রকাশ করেন তিনি।

ইনস্টাগ্রামে নতুন স্বামীর সঙ্গে হাস্যেজ্জ্বল একটি ছবি পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘মিসেস রশিদ মুখার্জি’। ক্যাপশনে লেখেন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রশিদ মুখার্জি।’

বিয়ের পর এই নাম পাল্টে ফেলে ভক্তদের সমালোচনার শিকার হয়েছেন এই অভিনেত্রী। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন। বিয়েটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু নাম পাল্টানোটা কি খুব বেশি জরুরী ছিলো?

এ বিষয়ে মিথিলা অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। তিনি চলে গেছেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন করবেন তিনি। পাশাপাশি একটু বেড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। সব মিলিয়ে সেখানে তারা থাকবেন এক সপ্তাহ। নাম পাল্টানোর ব্যাপারে কে কি ভাবল, সেদিকে আপাতত কোনও মনোযোগ নেই তার।

ছোটবেলা থেকেই মেধাবী মিথিলা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।  ব্রাক ইউনিভার্সিটি থেকে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট-এ দ্বিতীয় স্নাতকোত্তরও সম্পন্ন করেন তিনি।
 
পড়াশোনার পাশাপাশি কত্থক, মণিপুরী এবং ভরতনাট্যমের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন মিথিলা। নজরুলগীতির সুগায়িকা মিথিলার অন্যতম শখ হলো- ছবি আঁকা এবং অভিনয়। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ও করেছেন পিপলস থিয়েটার গ্রুপে। ২০০২ সালে শুরু মডেলিং ক্যারিয়ার। এরপর বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রথম সারির সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডারও হন তিনি।

মডেলিং করতে করতেই আসে অভিনয়ের সুযোগ। মিথিলার অভিনয়ে হাতেখড়ি মিউজিক অ্যালবাম দিয়ে। এরপর টেলিফিল্ম ও নাটকে। মিথিলার অভিনীত টেলিফিল্মগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়।

অভিনেত্রী-মডেল-গায়িকা মিথিলা একজন সমাজকর্মীও। তিনি ব্রাক ইন্টারন্যাশনাল-এর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট প্রোগাম-এর প্রধান। গত ১১ বছর ধরে মিথিলা এই বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশে তিনি শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে কাজ করেছেন। বাংলাদেশেও তিনি নারী ও শিশু অধিকার আন্দোলনের অন্যতম মুখ।

এনএস/