ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হ্যালো লিডার’র ১৩তম পর্বে থাকছেন যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

ভোটের আগে রঙ্গিন প্রতিশ্রুতি দেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বিজয়ের পর বেমালুম ভুলে যান সেসব কথা। নেতাদের ভুলে যাওয়া কথাগুলো মনে করিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নই হ্যালো লিডারের উদ্দেশ্য। আজ রোববার রাত ১০টায় লিডারের চেয়ারে বসছেন শাহীন চাকলাদার। 

শাহীন চাকলাদার যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। হ্যালো লিডারের সঞ্চালক একুশে টেলিভিশিনের হেড অফ ইনপুট ড. অখিল পোদ্দার বলেন, ক্ষমতার রাজনীতিতে জবাবদিহিতা যখন উধাও হতে বসেছে তখন একুশে টেলিভিশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘হ্যালো লিডার।’ 

ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধির জেলা যশোরে শাহীন। বিভিন্ন সময়ে ভাল কাজের জন্য হয়েছেন আলোচিত। সমালোচনাও রয়েছে তাঁকে ঘিরে। দক্ষিণ-পশ্চিমের আন্ডারওয়াল্ড, মাদক, উন্নয়ন, কনট্রাকটরি নিয়ন্ত্রণ সব বিষয়ে কথা বলবেন বহুল আলোচিত এই রাজনীতিক। মাটির ঘ্রাণ শুঁকে বড় হওয়া এই নেতা আজ রাতে মুখোমুখি হবেন জনপ্রিয় টিভি সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দারের। ড. পোদ্দারের সঞ্চালনায় হ্যালো লিডার অনুষ্ঠানের এটি একাদশ পর্ব। অনুষ্ঠানটি আজ রাত ২টায় ও আগামীকাল সোমবার সকাল ৭টায় পুণ:প্রচার হবে।

হ্যালো লিডার অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে অখিল পোদ্দার জানান, এটি একটি জনক্ষমতায়ন বিষয়ক অনুষ্ঠান। দুর্নীতি রোধ করে জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বাধ্য করাই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য; যা তিনি নির্বাচনের আগে ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ভোটারকেও জনপ্রতিনিধির (মন্ত্রী, সাংসদ কিংবা রাজনৈতিক নেতা) মুখোমুখি করা হয়।

তাঁরা তুলে ধরেন, নেতাদের পুরণো প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়নের বর্তমান অগ্রগতি। কাক্সিক্ষত উত্তর দিতে বিব্রত হলে জনগণকে সাক্ষী রেখে নিজেকে সংশোধনের সময় প্রার্থনা করেন সংশ্লিষ্ট লিডার। আর এভাবেই নগর-মহানগরসহ প্রত্যন্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও অপরাধদমনে ‘হ্যালো লিডার’ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে অখিল পোদ্দারের সাংবাদিকতা শুরু। পরবর্তী সময়ে কাজ করেছেন ভোরের কাগজ এবং জনকণ্ঠ পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য অর্জন করেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুরস্কার। সম্মাননা পেয়েছেন দেশে ও বিদেশে।

বাংলা সাহিত্যের ছাত্র অখিল পোদ্দার মাস্টার্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম হন। বুদ্ধদেব বসুর নাটক নিয়ে গবেষণা করে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। একুশে টেলিভিশনের হেড অফ ইনপুট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তির আগে একই প্রতিষ্ঠানে অপরাধ ও অনুসন্ধানী বিভাগের প্রধান, প্রধান প্রতিবেদক এবং বিশেষ প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

এমএস/