পবিত্র ফাতেমা-ই-ইয়াজদাহম আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৭ এএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ সোমবার। সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালিত হবে।
গাউসুল আযম বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি (র.) এর ওফাত দিবস বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ এগারো; ‘ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে এগারো এর ফাতিহা শরিফকে বোঝায়। এক কথায় রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখের ইছালে সওয়াব মিলাদ মাহফিলকে ‘ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলে।
তা ফারসি ভাষার প্রভাবে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশসহ আফগানিস্তান, ইরান, বৃহৎ রাশিয়ার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চল, ইরাক প্রভৃতি স্থানে ‘ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম’ অর্থাৎ এগারো এর ফাতিহা নামে উদ্যাপিত হয়।
এই পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ইমামুল আউলিয়া পীরানে পীর গাউসুল আযম দস্তগীর হজরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানি (র.) এর স্মরণে পালিত হয়।
হযরত আবদুল কাদের জিলানি বড়পীরকে সব আউলিয়ায়ে কেরামের সর্দার হিসেবে গণ্য করা হয়। ৫৬১ হিজরীর ১১ রবিউস সানী আধ্যাত্মিক জগতের এ মহান সাধক কোটি কোটি ভক্ত অনুরক্তকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দুনিয়া থেকে পর্দা করেন।
হযরত মহিউদ্দীন আবদুল কাদের জিলানী (র.) ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অধস্তন বংশধর। তিনি ৪৭০ হিজরি মোতাবেক ১০৭৭ ঈসায়ী সনে পবিত্র রমজান মাসের ১ তারিখ সেহরির ওয়াক্তে ইরানের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বিশিষ্ট বুজুর্গ সাইয়েদ আবু সালেহ জঙ্গি আর মাতা সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। বড়পীর তৎকালীন বাগদাদের শ্রেষ্ঠ বিদ্যপীঠ নিজামিয়া মাদরাসায় কুরআন, হাদীস, ফিকাহ, আকাইদ ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক পাণ্ডিত্য অর্জনপূর্বক সেখানে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন। তিনি অসাধারণ আধ্যাত্মিক সাধনা বলে মানুষের মাঝে চারিত্রিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
শুধু আজকের দিনই নয়, পুরো রবিউস সানি মাসেই ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলসহ নানা ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করেন মুসলমানরা।
দিবসটি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজ দুপুর দেড়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আবদুল কাদির জিলানী’র (রহ.) জীবন ও কর্ম নিয়ে ওয়াজ এবং মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করেছে।
ধানমন্ডির জিগাতলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আবু সালেহ পাটোয়ারী মাহফিলে খুতবা পেশ করবেন এবং দীনি দাওয়াত ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার এতে সভাপতিত্ব করবেন।
এমএস/