ছেলেদের ক্রিকেটেও স্বর্ণ, রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
নেপালে টাইগারদের স্বর্ণ জয়
এসএ গেমসের ক্রিকেট ইভেন্টে স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্যে নেপালে বেশ শক্ত দলই পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেনদের মতো জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েছেন নির্বাচকরা। আর তাতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যও পূরণ হয়েছে।
যার ফলে এবারের কাঠমান্ডু এসএ গেমসে বাংলাদেশ যেন রীতিমত সোনায় সোহাগা। আজ সকালেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৮টি স্বর্ণ জিতে আগের এক আসরের সর্বোচ্চ স্বর্ণ জয়ের রেকর্ড ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুবদের কল্যাণে এবার সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল লাল-সবুজের দল। ক্রিকেটেও সোনা জিতেছে বাংলার দামাল ছেলেরা।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নেপালের কির্তিপুরে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শান্ত বাহিনী। এর ফলে ক্রিকেট ইভেন্টে মেয়েদের পাশাপাশি স্বর্ণ জয় করলো বাংলাদেশের ছেলেরাও।
এদিন টস জিতে প্রতিপক্ষকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান দলীয় অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত। এসএ গেমসে বাংলাদেশকে বেশ ভালই নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার। অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা ভালোই কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ।
প্রতিপক্ষকে ১২২ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে তারা। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হাসান মাহমুদ। চার ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ২৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন তানভীর হাসান। স্পিনার মেহেদিও একটি উইকেট লাভ করেন, তবে রান দেন মাত্র ১৮টি। যার ফলে ওই রানে লঙ্কাকে আটকে দেয় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের সদস্যরা। যাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত। ২৮ বলে দুই চার আর এক ছয়ে ৩৫ রান করার পাশাপাশি জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
১৮তম ওভার শেষেই বোর্ডে ১২১ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। যাতে শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য মাত্র ২ রান প্রয়োজন টাইগারদের, ঠিক তখনই ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে আরেকটি স্বর্ণ জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসাইন ধ্রুব।
এর আগে ২৮ বলে ৪ চারে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। আর নাঈম শেখের বদলে ওপেনিং করতে নামা সাইফ হাসান খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। দূর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হওয়ার আগে তার ৩০ বলের ওই ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কার মার। আর চারে নামা ইয়াসির আলী রাব্বি আগের দিন ফিফটি পেলেও আজ আউট হন মাত্র ১৯ রান করে।
তবে তাতে দলের জয়ের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ প্রতিপক্ষের ওই অল্প রান সহজেই টপকে যায় শান্ত-আফিফরা। আর তাই ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দেয়ায় ফাইনালের ম্যাচসেরা হয়েছেন তিন উইকেট শিকার করা হাসান মাহমুদই।
এনএস/