সিরাজগঞ্জে নৌ-বন্দর ঘাটে ৯ জনকে কারাদন্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
উত্তবঙ্গে জ্বালানী তেল, সার, ক্লিংকারসহ অন্যান্য মালামাল সরবরাহে সিরাজগঞ্জের সরকারী বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর ঘাট ব্যতিরেকে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা পাবনার বেড়ার বন্দর উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থার চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের চলা ভ্রাম্যমান আদালত কয়েক ঘন্টাব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঘাটে জাহাজ হতে মালামাল খালাশের ভ্রাম্যমান কয়েকটি জেটি, ওজন স্কেল ও অফিস গুড়িয়ে দেয়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত ঘাট পরিচালনার জন্য কারাদন্ড দেয় ৯ জনকে।
বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দরটি দিয়ে উত্তরাঞ্চলসহ টাঙ্গাইল, জামালপুর জেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ এবং উত্তরবঙ্গে অন্তত ১৫ লাখ টন সার, ক্লিংকার ও অন্যান্য জিনিস সরবরাহ হয়। পাটুরিয়া, আরিচা নৌপথ দিয়ে চট্টগ্রাম হতে এসব জিনিস জাহাজে বাঘাবাড়ি বন্দরে খালাস হয়ে সড়ক পথে সরবরাহ হচ্ছে। এজন্য এ বন্দরটি চলতি বছরে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ইজারা দেয়া হয়। তবে গত ৫ মাস ধরে বাঘাবাড়ি বন্দরের ৬ কিলোমিটার উজানে বেড়া গুদারা ঘাটে স্থানীয় স্থানীয় পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ বন্দর গড়ে তোলে। এখান থেকে এসব মাল খালাস করে কৌশলে টাকা আদায় করছিলেন তিনি।
এমন খবরে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। তখন ঘাটে জাহাজের মাল খালাসের অস্থায়ী জেটি অফিসসহ অন্যান্য স্থাপনা ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অবৈধ বলেই এই বন্দর উচ্ছেদ করা হয়েছে বললেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এম মাহবুব-উল ইসলাম ও নৌ মন্ত্রনালয়ের এই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপ-সচিব হাবিবুর রহমান।
তারা জানান, সরকারকে বিতর্কিত করতেই এই অবৈধ বন্দর স্থাপন করা হয়েছিল। আমরা তা গুড়িয়ে দিয়েছি। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে দায়ীদের বিরুদ্ধে। তারা আরও জানান, অবৈধ এই বন্দর পরিচালনা করার অপরাধে জাহাজের শ্রমিকসহ এলাকার ৯ জনকে ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে বেড়ায় গড়ে ওঠা অবৈধ বন্দরে জোড় করে পণ্যবাহী জাহাজগুলো নোঙ্গর করানো হতো বলে অভিযোগ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব। তিনি বন্দরটি উচ্ছেদ করায় সস্থি প্রকাশ করেন।
এছাড়া অবৈধ বন্দরের বিরুদ্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করায় বিআইডব্লিউটিএকে স্বাগত জানিয়েছে বাঘাবাড়ি বন্দরের ইজারাদার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নকির। তারা জানান, ঐ বন্দরটির কারণে আমরা ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলে সঠিক সময়ে সারসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনে বিলম্বিত হতো। কারণ এখানে কাঁচামাটিতে পণ্য খালাস ও সরবরাহে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। অবশেষে উচ্ছেদে আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
কেআই/আরকে