ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সন্দ্বীপে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সেমিনার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৪৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

জলবায়ু পরিবর্তন সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজন উপকূলীয় বনায়ন এবং ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এসডিআই'র সিজেআরএফ প্রকল্প ও কোষ্ট ট্রাষ্টের যৌথ আয়োজনে সন্দ্বীপ উপজেলা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদর্শী সম্বৌধী চাকমা। এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার শাহজাহান বি.এ।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিজেআরএফ প্রকল্প কোষ্ট ট্রাষ্টের প্রোগ্রাম হেড আবুল হাসান। এরপর সেমিনার বিষয়ে ধারনা পত্র উপস্থাপন করেন এসডিআই সন্দ্বীপ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান।

রিকল ২০২১ প্রজেক্টের এফএফ বাদল রায় স্বাধীনের সঞ্চালনায় সেমিনার পেপারের উপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন, সমবায় কর্মকর্তা মিন্টু বড়ুয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম মোহাম্মদ, আজিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সিএস দিদারুল আলম, বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুল্যা আল বাকী, প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি সুফিয়ান মানিক, নারী প্রগতি সংঘের ব্যবস্থাপক মো. শামসুদ্দীন, নিজেরা করির কর্মকর্তা মতিউর রহমান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পৃথিবী আজ হুমকির মুখে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি গবেষকদের মাঝে শংকা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফসল উৎপাদনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে জলবায়ু পরিবর্তন। জমি হারাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতা। সঠিক সময়ে ফসল বুনতে পারছে না, বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ। 

গবেষকরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে অনেক নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজন জলবায়ু পরিবর্তনরোধে ব্যাপক বনায়ন ও ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ। সে বন কার্বন শোষন করে জলবায়ু পরিবর্তনরোধে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজে লাগবে। আর বনায়নের জন্য বিভিন্ন চর এলাকা, নদীর পাশের বেড়িবাঁধ, সড়কের দুই পাশ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চারপাশকে বেছে নিতে হবে। 

বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন কল-কারখানার কালো ধোঁয়া, ইটভাটা বন্ধ করণসহ কার্বন নিঃসরণ করে এমন প্রতিষ্ঠান সমূহকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এছাড়াও সন্দ্বীপের ক্ষেত্রে নতুন নির্মিতব্য বেড়িবাঁধকে বনায়নের আওতায় আনা হবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বনবিভাগের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত করা যেতে পারে। হতে পারে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে আরো নতুন পরিকল্পনাও। এবং কৃষিখাতের কথা চিন্তা করে লবন সহিষ্ণু জাতের ফসল রোপন ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।

কেআই/এসি