ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর অজানা কথা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

সানা ম্যারিন। বয়স ৩৪ বছর। এ বয়সেই বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এতো অল্প বয়সে ফিনল্যান্ডের দ্বায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এ নারী। আন্তর্জাতিক মহলে তাকে নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা। কিন্তু যে সাফল্য আজ আমরা দেখছি তা কিন্তু খুব সহজে তার কাছে ধরা দেয়নি। কারণ সানা ম্যারিনের বেড়ে ওঠা ততটা সুখকর ছিল না।

সমলিঙ্গ পরিবারে বেড়ে ওঠা বিশ্বের এই সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শৈশবে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আসুন জেনে নেই তার সম্পর্কে।

এক নজরে সানা ম্যারিন :
১৯৮৫ সালের ১৬ নভেম্বর। ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে জন্ম হয় সানার। তার জন্মগত নাম সানা মিরেলা ম্যারিন। যে পরিবারে ম্যারিনের বড় হওয়া, সেটিও বেশ বৈচিত্রময়। ম্যারিন নিজে সমলিঙ্গ দম্পতির সন্তান।

ম্যারিনের শৈশব কেটেছে ভাড়াবাড়িতে। তাকে বড় করে তোলেন মা এবং মায়ের সঙ্গিনী। পারিবারিক পরিচয় দিতে শৈশবে বারবার হোঁচট খেয়েছেন তিনি। সেই থেকে গুটিয়ে রাখতেন নিজেকে। কিন্তু তাকে বরাবর আত্মবিশ্বাস আর সাহস জুগিয়েছেন তার মা।

এনিয়ে সানা জানান, তিনি তার পরিবার সম্পর্কে সেসময় বাইরে তেমন কিছুই বলতে পারতেন না।

সানা বলেছেন, সেসময় নিশ্চুপ হয়ে থাকা ছিল অনেক কষ্টের। আমাদের পরিবারকে অন্যান্য পরিবারের মত দেখা হত না সমাজে।

১৯ বছর বয়সে ২০০৪ সালে তিনি হাই স্কুল উত্তীর্ণ হন। তিন বছর পরে স্নাতক হন ইউনিভার্সিটি অব ট্যাম্প্রে থেকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্সেস বিষয়ে।

তার পরিবার থেকে তিনি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। তবে ম্যারিন জানান, তার মা তাকে সবসময় সমর্থন করেন।

রাজনীতিতে তিনি প্রবেশ করেন ২৭ বছর বয়সে। এই বয়সেই ট্যাম্প্রে সিটি কাউন্সিলের সদস্য হন তিনি। এরপর চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দ্বিতীয় ডেপুটি চেয়ারপার্সন হন তিনি। ২০১৫ সালে ৩০ বছর বয়সে প্রথমবার ফিনল্যান্ড পার্লামেন্টের সাংসদ নির্বাচিত হন ম্যারিন। ২০১৯ সালের ৬ জুন দায়িত্ব নেন দেশের যোগাযোগ ও পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে।

ডাকবিভাগে ধর্মঘট নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে জোটসঙ্গী সেন্টার পার্টি সমর্থন তুলে নেওয়ায় সম্প্রতি সরকার ভাঙে ফিনল্যান্ডে। আস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অ্যান্টি রিনে। সেই শূন্য আসনেই ম্যারিনকে নির্বাচিত করেছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। খুবই অল্প ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়ভার পড়ে তার হাতে।

সানার পার্টনারের নাম মার্কাস রাইক্কোনেন। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও তারা এখনও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তবে এরই মধ্যে গত ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মা হন সানা। তাদের মেয়ের নাম এমা। যার বয়স এখনও দু’বছর হয়নি। ভবিষ্যতে মার্কাস-সানার বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
এসএ/