ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তামিম-আফ্রিদির ব্যর্থতায় বিপাকে ঢাকা

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:১৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ব্যর্থ হয়ে ফিরছেন তামিম ইকবাল

ব্যর্থ হয়ে ফিরছেন তামিম ইকবাল

আন্দ্রে রাসেল-অলক কাপালিদের হিসেবি বোলিংয়ের বিপক্ষে রীতিমত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তামিম-আফ্রিদিরা। যাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা মাফিক ব্যাটিং করতে পারেনি ঢাকা প্লাটুন। তবে মাশরাফির লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানের পুঁজি পেয়েছে দলটি।

এই অল্প রানের জবাবে ব্যাট করতে নামা রাজশাহীর দুই ওপেনারকে আট ওভার পর্যন্ত কোনোরকম বিপদেই ফেলতে পারেনি মাশরাফি এন্ড কোং। তবে নবম ওভারে এসে প্রথম বলে ছক্কার মার খাইলেও পরের বলেই লিটন দাসকে তুলে নেন স্পিনার মেহেদি হাসান জুনিয়র। 

ফেরার আগে ২৭ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় ৩৯ রান করেন লিটন। আর এর মধ্যদিয়েই ৬২ রানে প্রথম উইকেট হারায় রাজশাহী। 

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে রাজশাহী রয়্যালসের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৪ রান। ক্রিজে আছেন হজরতুল্লাহ জাজাই ২১ রান নিয়ে এবং শোয়েব মালিক শূন্য রানে।  

এর আগে এদিন তামিম ইকবাল, এনামুল হক, শহীদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, লরি ইভান্সকে নিয়ে গড়া অন্যতম শক্তিশালী  ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে দল গড়ে ঢাকা প্লাটুন। যদিও নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং শক্তির তেমন কোনও প্রদর্শনই দেখাতে পারল না তারা। তবে ‘বোলার’ মাশরাফি বিন মুর্তজাকেই টানতে হল দলকে। 

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। আবু জায়েদের বলে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৪ বল খেলে মাত্র ৫ রান করেছেন। শুরুর এই ধাক্কা সামলাতে ইংলিশ ব্যাটসম্যান লরি ইভান্সকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করার কাজ শুরু করেন এনামুল হক বিজয়। যদিও তা এগোতে পারেনি বেশি দূর।

একপ্রান্তে থেকে জাকের আলী-থিসারা পেরেরাদের আসা-যাওয়া দেখেই গেছেন বিজয়। আর তাতে যোগ্য সঙ্গী না থাকার দুঃখেই কি না কে জানে, ধীরেসুস্থে ৩২টা বল খেলার পর অলক কাপালিকে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়েই কাটা পড়েন তিনিও। ৩৩ বলে ৩৮ রান করে এনামুল যখন ফেরেন, ঢাকার স্কোর তখন ১২.১ ওভারে ৬ উইকেটে ৮০।

এমন অবস্থাতেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে আউট হয়ে যান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। যাতে, স্তব্ধ হয়ে যায় ঢাকার সমর্থকরা। শেষমেশ মাশরাফি ও ওয়াহাব রিয়াজের দুটি ‘ক্যামিও’ ইনিংসের ওপর ভর করে ১০০ পেরোয় ঢাকা। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে তুলতে পারে ১৩৪ রান।

এদিন বল হাতে রাজশাহীর প্রায় সব বোলারই আঁটোসাঁটো বোলিং করলেও শেষ ওভারে মাশরাফি ঝড়ের মাশুল দিয়েছেন আগের তিন ওভারে দুর্দান্ত বল করা আবু জায়েদ। দুটি উইকেট পেলেও শেষমেশ তাকে দিতে হয়েছে ৪৩ রান। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন অলক কাপালি, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম ও রবি বোপারা। তবে তিন ওভারে মাত্র ৮ রান দিলেও উইকেট শূন্য থাকেন আন্দ্রে রাসেল।

এনএস/