ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

কাশ্মীর ও নাগরিকত্ব বিলের পর এবার কোন পথে বিজেপি?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বিরোধীদের বাধা বিপত্তি ও দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিক্ষোভ উপেক্ষা করেই শেষ পর্যন্ত সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাস করাতে সমর্থ হল কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।

সোমবার লোকসভায় ভোটাভুটিতে পাস হয়ে যায় ওই বিল, তারপরেও জল্পনা ছিল যে আদৌ রাজ্যসভায় ওই বিল পাস করাতে পারবে তো কেন্দ্র। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সংসদের উচ্চকক্ষে ওই বিলের পক্ষে ভোট পড়ল ১২৫ টি, এবং বিরুদ্ধে ভোট পড়ল ৯৯টি, ফলে রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।

এনডিটিভি জানায়, এবার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে, এরপর ঠিক কী করতে চলেছে সরকার, তা নিয়ে চলছে কানাঘুষো। আসলে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দলীয় ইস্তেহারে ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক প্রথা বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। 

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের প্রায় ৭ মাসের মধ্যেই মোদি সরকার তার দ্বিতীয় মেয়াদে এই তিনটি প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে বিজেপি নেতারা বলছেন যে এই মুহূর্তে দলের অগ্রাধিকার হ'ল দেশ জুড়ে এনআরসির বাস্তবায়ন করা।

বিজেপি নেতারা বলছেন তিন তালাক আইন তৈরি করা একটি বড় পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে এটিকে নিয়ে আরও ভাবনাচিন্তা করা হবে। বর্তমানে দলের অগ্রাধিকার হ'ল দেশজুড়ে এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জিকরণের বাস্তবায়ন করা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে এ বিষয়ে ঘোষণা করেছেন। 

বিজেপি নেতাদের মতে, এটির জন্য কোনও আইন আনার দরকার নেই । তবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির এনআরসি পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। 

অন্যদিকে, বিজেপি সরকার এখন ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে বিবেচনা করছে যা বিজেপির মৌলিক মতাদর্শের খুব কাছাকাছি এবং এই বিষয়টি সব সময় দলের ইস্তেহারের একটি অংশ ছিল। ইউনিফর্ম সিভিল কোড সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টও মন্তব্য করেছে। তবে মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদে আইন কমিশন এর বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছে।

বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে ব্যাপক বিরোধিতার মাঝেই সংসদে অনুমোদন পেয়েছে এই বিলটি । বুধবার রাজ্যসভায় ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনার পরে এই বিলটি পাস হয়। যদিও বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি করে বিরোধী দলগুলি, যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। 

লোকসভায় বিলের সমর্থনে শিবসেনা ভোট দিলেও রাজ্যসভায় তারা বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। সংসদে বিলটি পাস হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিনটিকে ভারতের ঐতিহাসিক দিন হিসাবে উল্লেখ করে সৌভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি টুইট করে বলেন যে এই বিলটি 'বহু বছর ধরে ভুক্তভোগী অনেক মানুষের দুঃখকষ্ট দূর করবে।'

এসি