ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চট্টগ্রামকে উড়িয়ে টাইগারদের বড় জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:২২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মুশফিকের সঙ্গে ফিফটি উদযাপনে রুশো

মুশফিকের সঙ্গে ফিফটি উদযাপনে রুশো

এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। ইমরুল কায়েসের ঝোড়ো এক ফিফটিতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডার্সের ১৬২ রান তাড়া করে জিতেছে দলটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যাটিংটা হয়নি প্রত্যাশা মতো। যার খেসারত দিতে হয়েছে খুলনা টাইগার্সের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হওয়া বিপিএলের চতুর্থ ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মোটে ১৪৪ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। জবাবে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও রেইলি রুশোর অনবদ্য ফিফটিতে ৮ উইকেট ও ৩৭ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুশফিকের দল। 

জবাব দিতে নেমে শুরুতে নাজমুল হোসাইন শান্তকে হারিয়ে ধাক্কা খায় খুলনা। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে প্রোটিয়া রিক্রুট রেইলি রুশোকে নিয়ে মাত্র ৩২ বলেই ৭০ রানের এক অনবদ্য জুটি গড়েন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। যার মধ্যে ১৮ বলে নিজের ফিফটিও তুলে নেন আফগান ওপেনার। তবে তাকে আর বেশি এগোতে দেননি মুক্তার আলী। ফলে ঠিক ৫০ রানেই ফিরতে হয় গুরবাজকে। তার ওই তাণ্ডুবে ইনিংসে ছিল পাঁচটি বিশাল ছক্কা ও চারটি চারের মার।

চট্টগ্রামের বোলারদের হতাশার রাতে এরপরের গল্পটা শুধুই রেইলি রুশোর। যা শেষ হয় সাতটি চার ও দুটি ছক্কার মারের মধ্যদিয়ে। এই নয় বাউণ্ডারির সাহায্যে আউট না হলেও ৩৮ বলে ৬৪ রানেই থামতে হয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। যদিও তখনও ইনিংসে বল বাকি ছিল ৩৭টি। তবে তার আরেক সঙ্গী দলনায়ক মুশফিকুর রহিম ২২ বলে ২৮ রান করলে যে শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত লক্ষ্যটা।

যাতে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পাওয়া চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনা জয় পায় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানেই। এ ম্যাচে সাত জন বোলারকে ব্যবহার করেও খুলনাকে রুখতে পারেননি চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক রায়াদ এমরিত। যদিও প্রথম ম্যাচেও দলটির বোলিং দৈন্যতা চোখে পড়ে সবার।  

কেসরিক উইলিয়ামসের করা ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলটিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েই ডানহাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে জয়ের উল্লাসে মাতেন মুশফিক।তবে অনবদ্য এই জয়ের ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়টির নাম ওই রুশোই। এদিকে, খুলনার ইনিংসে যে দুটি উইকেট পড়ে তার একটি যায় স্পিনার নাসুম আহমেদের ঝুলিতে, আরেকটি যায় অলরাউন্ডার মুক্তার আলীর পকেটে।  

এর আগে খুলনার তিন পেসার রবি ফ্রাইলিংক, মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারালেও এসময়ে সেভাবে রানও তুলতে পারেনি চট্টগ্রামের দুই ক্যারিবীয়ান ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও চ্যাডউইক ওয়ালটন।

প্রথম ছয় ওভারে ৩৯ রান তুলেছেন দুজন। সিমন্স ২৩ বলে ২৬ করে ফিরলে ভাঙ্গে দুজনের ৪৫ রানের জুটি। এরপর নাসির হোসেন (২৭ বলে ২৪), নুরুল হাসান সোহানরা (১৭ বলে ১৯) কিছুটা লড়াই করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।

তবে শেষ দিকে মুক্তার আলির ১৪ বলে ৪ ছয়ে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে চড়ে দেড়শর কাছাকাছি সংগ্রহ পায় চ্যালেঞ্জার্স। যদিও তা খুলনার টাইগারদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট বলে মনে হয়নি। 

রংপুরের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন রবি ফ্রাইলিংক, শফিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম।

এনএস/