ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

নিউইয়র্কে আরজ আলী মাতুব্বরের ১১৯তম জন্মোৎসব উদযাপন 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৪২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

নিউইয়র্কে এই প্রথমবারের মতো দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিন পালন করা হবে। আগামি ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাঁর ১১৯তম জন্মোৎসব পালন করা হবে জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজা মিলনায়তনে। 

জন্মোৎসবে আরজ আলী মাতুব্বরের জীবন ও কর্ম নিয়ে এক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশগ্রহণ করবেন, প্রফেসর মতলুব আলী, লেখক আহমাদ মাযহার এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জাকির হোসেন বাচ্চু। এটি আয়োজন করেছে জন্মোৎসব উদযাপন পরিষদ, নিউইয়র্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদেও সাবেক ডিন ও প্রফেসর মতলুব আলী বলেন, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মুক্ত চিন্তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা আরজ আলী মাতুব্বর দর্শন এবং তাঁর জীবনাচরণ আগামী প্রজন্মেও কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁর সম্পর্কে অনেকে ঠিক ভাবে না জেনে তাঁর দর্শনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। এ জন্যই তাঁকে নিয়ে বেশি বেশি আয়োজন হওয়া প্রযোজন। এই আয়োজন তাঁর সম্পর্কে ভুল কিছুটা হলেও দূর করবে।

জন্মোৎসব উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক তোফাজ্জল লিটন বলেন, অনুষ্ঠানটি হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। প্রথমে তিনজন বক্তা আরজ আলী মাতুব্বরের জীবন দর্শন ও তার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবেন। তারপর সবাই প্রশ্ন করে বা যে কারো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এই আয়োজনে যে কোনোভাবে যুক্ত হতে চাইলে বা জানতে চাইলে অ্যাক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারী, মুক্তধারার সিইও বিশ্বজিৎ সাহা, বাংলাদেশের গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি এবং সাংবাদিক সন্জীবন সরকার ও মাহবুব রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।

আরজ আলী মাতুব্বর ১৯০০ সালের ১৭ ডিসেম্বরে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দার্শনিক, মানবতাবাদী, চিন্তাবিদ এবং লেখক ছিলেন। তিনি নিজ চেষ্টা ও সাধনায় বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে আছে সত্যের সন্ধানে (১৯৭৩) সৃষ্টির রহস্য (১৯৭৭) অনুমান (১৯৮৩) স্মরণিকা (১৯৮২) ম্যাকগ্লেসান চুলা (১৯৫০)।

আরজ আলী মাতুব্বরের লেখায় উঠে এসেছে ধর্ম, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নানামুখী জিজ্ঞাসা । তিনি তার অর্জিত সম্পদ দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’। তিনি ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল  বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

কেআই/এসি