শীতে কেন বাড়ে বাতের ব্যথা?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার
ঠাণ্ডার সঙ্গে যেন ব্যথা পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাতের (আর্থ্রারাইটিস) ব্যথা। তাপমাত্রা যত নামবে ব্যথার পারদ তত বাড়বে। কেন হয় এ রকম? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাপমাত্রা কমলে জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে রক্তের তাপমাত্রাও কমে যায়। ফলে জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে। তখন ব্যথায় কাহিল হন বৃদ্ধজন।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, শীতে আমাদের হার্টের চারপাশের রক্ত অন্যস্থানের তুলনায় বেশি ঠাণ্ডা হয়ে পড়ে। তাই শরীরকে উষ্ণ রাখতে আমরা এই সময় গরম পোশাক গায়ে দেই। ঠাণ্ডার জন্যই শরীরের অন্যান্য অংশেও রক্ত সঞ্চালনের বেগ কমে যায়। ফলে ঠাণ্ডায় ত্বকে ব্যথার প্রভাব বেশি অনুভূত হয়। এরই নাম বাত।
৪০ পেরোলেই সাধারণত আর্থ্রাইটিস বা বাতে কাবু হন মানুষ এবং এর মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। আর হাঁটু যেহেতু শরীরের সমস্ত ওজন বহ করে তাই সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটি। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হলে জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ বা পুরো শরীরও অনেক সময় আক্রান্ত হয়। তখন শরীর জুড়ে ব্যথা ও ফোলাভাব থাকে। বেঁকে যায় হাত-পা, দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি। কখনও কখনও হয় জ্বর।
বয়স্ক মানুষেরা এই সমস্যায় বেশি ভোগার কারণ- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দেয় শরীরে। ফলে হাড়ের ক্ষয়ের সঙ্গে লিগামেন্টগুলো দৈর্ঘ্য এবং নমনীয়তাও হ্রাস পায়। যার কারণে জয়েন্টগুলো ফুলে যায়। তা থেকেই শুরু হয় ব্যথা।
তবে শীতকালে এই অসহ্য ব্যথা কমাতে হলে সকালের নরম রোদে শরীর গরম করে নিবেন। কারণ সকালের রোদে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। এই ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করলে ব্যথা তো কমবেই, এর সঙ্গে জয়েন্টের ফোলাভাবও কমবে। রোদের তাপে উষ্ণ হবে শরীর। রক্ত সঞ্চালন হবে দ্রুত। ফলে সারাদিন বাতের ব্যথা থেকে উপসম পাবেন।
এএইচ/