অবৈধ রেলক্রসিং বন্ধে হাইকোর্টের রুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৫:০২ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার
মানুষের জীবন রক্ষায় এবং নিরাপদ রেল চলাচল নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অবৈধ রেল ক্রসিং বন্ধের প্রশ্নে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। এ ছাড়াও বৈধ রেলক্রসিং চিহ্নিত করে ফেঞ্চিংয়ের (বেড়া দেয়া) কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
একলাছ উদ্দিন জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের (রেসপনডে) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রেল সচিব, স্থানীয় সরকার ও সড়ক সচিব, রেলের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, এসব বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী। রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রেল সচিব, স্থানীয় সরকার ও সড়ক সচিব, রেলের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে বিবাদী করা হয়।
ওইদিন একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সারা দেশে এক হাজার ৪১২টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এআরআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ২৩৫ টি দুর্ঘটনায় ২৪৪ জন মানুষ মারা গেছে এবং ২২৮ জন আহত হয়েছে।
'২০১৭ সালে ২১১ টি দুর্ঘটনায় ২২৯ জন মারা যায় এবং ১৫৫ জন আহত হয়। ২০১৬ সালে ৫৬ টি দুর্ঘটনায় ৫৯ জন মারা যায় এবং ৪৬ জন আহত হয়।' মানুষের জীবন রক্ষায় ও নিরাপদ রেল চলাচল নিশ্চিত করতে এ রিট করা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এমএস/এসি