‘ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসাতে চাই’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৮ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসানোর প্রচেষ্টা হিসেবে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগ্যান ওরট্যাগুস। ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের চেষ্টার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি সোমবার এ দাবি করেন।
মার্কিন মুখপাত্র বলেন, আমরা যা করছি তা ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য করছি। কারণ আমাদের প্রেসিডেন্ট পরমাণু সমঝোতার চেয়ে ভালো একটি চুক্তি করতে চান এবং আমরা কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
ওরট্যাগুস আরও বলেন, আমরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তবে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতিকে ফলপ্রসূ হিসেবে দাবি করে ওই মুখপাত্র আরও বলেন, আমার মনে হয় ইউরোপীয় দেশগুলোও চায় ইরান তার আচরণে পরিবর্তন আনুক।
পাশ্চাত্যের সঙ্গে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হয়। মার্কিন সরকার প্রথম দিন থেকেই এ সমঝোতা বাস্তবায়নে গড়িমসি করে এবং ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে এ সমঝোতা থেকেই বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি অবশেষে ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প অসংখ্যবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তেহরান পরমাণু সমঝোতাকে অচলাবস্থার মধ্যে ঠেলে দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করে বলেছেন, মার্কিন সরকার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে না আসা পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনায় বসবে না তেহরান।
সূত্র: পার্সটুডে
একে//