ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম, যা বললেন নুজহাত চৌধুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত রাজাকারের এ তালিকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী। স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

আমাদের যে কোন অর্জন বা উদ্যোগকে কারা সবসময় বিতর্কিত করে দেয়? এদের চেহারা উন্মোচন করা এখন বেশি দরকার।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়েই হোক আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই হোক - যেই যেই অফিসারের হাত দিয়ে নামগুলো এসেছে তাদের কার কার লিস্টে কোন কোন ভুল হয়েছে- তা নিরূপণ করে - দেশের ইতিহাসের বিষয়ে কাজ করার সময় অবহেলার দায়ে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করার সময় আর কেউ এতটা অবহেলা করে কাজ করতে না পারে।

তবে এটা অজ্ঞতা, অবহেলা নাকি ইচ্ছা করে রাজাকারদের নামের তালিকাকে বিতর্কিত করার প্রয়াস- সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে খুঁজে দেখা দরকার। আমার কাছে এটা ইচ্ছাকৃত অপরাধ মনে হচ্ছে। এই অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করুন মন্ত্রনালয়ের বাইরের লোক নিয়ে। আর যেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এসেছে রাজাকারের তালিকায় তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অফিসিয়ালি। অনেক শহীদ পরিবার বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার প্রায়ই অনুযোগ করেন যে, তাদের সাথে মন্ত্রণালয়ের নিম্নপদের অফিসাররা খারাপ ব্যবহার করেন। এই দুঃখজনক ঘটনার তদন্তের মধ্য দিয়ে সরকারের এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পদে ঘাপটি মেরে থাকা এই কুলাঙ্গারদের চেহারা উন্মোচিত হোক।

ইতিহাস সংরক্ষণ করার দায়িত্ব সরকারেরই। এবং সেটা করতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করে জানিয়ে দিন সকলকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হয়। অন্যথা হলে পরিণতি কি হয় তাও বুঝিয়ে দিন। ইতিহাস বিকৃতি মেনে নেবো না। কারো হাত দিয়েই না।

একে//